হিন্দু মন্দির ভাঙচুরের মতো নিন্দনীয় ঘটনায় বহুবারই প্রকাশ্যে এসেছে পাকিস্তানের নাম। সে দেশের মাটিতে মন্দির নিয়ে বারবারই ইসলাম মৌলবাদীরা রীতিমতো খড়গহস্ত। কিন্তু সেসব উপেক্ষা করেই প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিল ইমরান খানের সরকার। রাজধানী ইসলামাবাদের মাটিতেই হিন্দু মন্দির এবং সমাধিস্থল তৈরির অনুমোদন দেওয়া হল।
পাকিস্তানের ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটির তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কাজ চালুর কথা বলা হয়েছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবরে প্রকাশিত সেক্টর এইচ ৯/২, ইসলামাবাদ। এই ঠিকানাতেই তৈরি হচ্ছিল মন্দির এবং সঙ্গে সমাধিস্থল। কিন্তু আইনি কারণ দেখিয়ে জুলাইতে তা বন্ধ করে দেওয়া হয় সিডিএ-র তরফে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের ধারণা, এই কাজ বন্ধ করে দেওয়ার পিছনে ছিল কট্টরপন্থীদের অঙ্গুলিহেলন।
তাঁরাই ইমরান সরকারের উপর চাপ তৈরি করেছিলেন মন্দির গড়তে দেওয়া যাবে না বলে। এ নিয়ে ইসলামাবাদের হিন্দু সমাজ গর্জে ওঠে। ধর্মীয় সহিষ্ণুতা নিয়ে উলটোদিক থেকে চাপের মুখে পড়েন ইমরান খান। এরপর বিষয়টি নিয়ে জটিলতা কাটানোর দায়িত্ব তিনি দেন দেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী পীর নুরুল হক কাদরিকে। তারপরই ধীরে ধীরে জট কাটতে থাকে। কাদরি নিজে সিডিএ-র সঙ্গে কথা বলেন। কাউন্সিল ফর ইসলামিক আইডিওলজি বিভাগের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়ে অনুমতির আবেদন করেন। এছাড়া ইসলামাবাদের ওই জমিতে মন্দির নির্মাণে পাক সরকারকে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাবও দেন মন্ত্রী। তাতে ইমরান সরকার ১০কোটি টাকা অনুদানে সম্মত হয়। এরপর ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটির আর বস্তুত কিছুই করার ছিল না অনুমোদন দেওয়া ছাড়া। ফলে তারা বিজ্ঞপ্তি জারি করে ওই জমিতে নির্মাণকাজ শুরু করার অনুমতি দেয়। তবে দু-একটি শর্তও রাখা হয়েছে। সমাধিস্থলের দেওয়াল ৭ ইঞ্চির বেশি উঁচু করা যাবে না।
সে যাই হোক, মৌলবাদীদের শত বিরোধিতা সত্ত্বেও ইমরান সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply