ঢাকার অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো: আসাদুজ্জামান নূরের অপসারণের দাবিতে সিএমএম কোর্টের কলাপসিবল গেটে আটকিয়ে আন্দোলন করছে আইনজীবীরা। এক আইনজীবীকে আসামির লক আপে দুই ঘণ্টা আটকে রাখার অভিযোগে ম্যাজিস্ট্রেটের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একদল বিক্ষুব্ধ আইনজীবী ঢাকার অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের এজলাস কক্ষ থেকে সবাইকে বের করে তালা দিয়ে দেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলমান রয়েছে।
এরপর আইনজীবীরা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ সিএমএম আদালতের মূল গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। ওই বিচারকের অপসারণ চেয়ে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন আইনজীবীরা। বন্ধ রয়েছে সিএমএম আদালতের বিচারকাজ। এ সময় আদালতের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার লক আপে আটকে রাখার অভিযোগে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বরাবর আবেদন দিয়েছেন ভুক্তভোগী আইনজীবী। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান।
আটকে রাখা আইনজীবীর নাম রুবেল আহমেদ ভুঞা। আবেদনে তিনি বলেন, “মঙ্গলবার আমি ওই আদালতে মামলা পরিচালনা করতে যাই। এ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় বিচারক এজলাসে উঠবেন বলে জানান। কিন্তু ১১টার দিকেও বিচারক না ওঠায় বিষয়টি পেশকারের কাছে জানতে চাই। পরে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে বিচারক আমার মামলা না শুনে পরে আসতে বলেন। পরে গেলে আমাকে দুই ঘণ্টা লক আপে আটকে রাখেন এবং বলেন, ‘আমার সনদ বাতিল করে দেবেন এবং সব ম্যাজিস্ট্রেটকে বলে দেবেন, আমার মামলা না শোনার জন্য।’ আমি বিষয়টিতে চরম অপমান বোধ করছি এবং উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।”
Leave a Reply