যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া নভেল করোনাভাইরাসের নতুন ধরন এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। এটি নিয়ে খুব বেশি আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন দেখছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তারপরও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে আজ বুধবার সদস্যদের বৈঠক ডাকা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কীভাবে যুক্তরাজ্যে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরনকে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করবে ডব্লিউএইচও। তথ্য ভাগাভাগিতে সহায়তার উদ্দেশ্য নিয়ে বৈঠকটি আয়োজন করা হয়েছে।
ডব্লিউএইচওর ইউরোপীয় অঞ্চলের পরিচালক হ্যানস ক্লুজ তার টুইট পোস্টে বলেছেন, ‘আমাদের হাতে আরও ভালো তথ্য না আসা পর্যন্ত সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্রমণ সীমাবদ্ধ রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।’
গতকাল ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনার নতুন ধরন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তারপর এ নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। তবে ডব্লিউএইচওর জরুরি বিষয়ক প্রধান মাইক রায়ান বলেন, ‘এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। তবে এটিকে তার নিজের গতিপথে চলতে দেওয়া যাবে না।’
এক অনলাইন বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি ভারসাম্য খুঁজে পেতে হবে। এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা ঘটছে জনসাধারণকে জানানো দরকার। তবে এটিও পরিষ্কার করতে হবে যে, এটি ভাইরাসের বিবর্তনের স্বাভাবিক অংশ।’
ব্রিটেন থেকে পাওয়া তথ্য উল্লেখ করে ডব্লিউএইচওর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের বর্তমান ধরনটি থেকে নতুন ধরনটি লোকজনকে বেশি অসুস্থ করছে বা এটি আরও প্রাণঘাতী, এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি; তবে নতুন ধরনটি আরও সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এদিকে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার পর অনেক দেশ যুক্তরাজ্যের ওপর ভ্রমণ-নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও বলেছে, খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানির মতো গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সরবরাহের জন্য আটকে থাকা পণ্যবাহী সব যানবাহনকে ঢোকার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
এদিকে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধে তাদের তৈরি টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষায় তৎপর হয়ে উঠেছে। তবে ডব্লিউএইচও বলছে, টিকার কার্যকারিতার ওপর করোনার নতুন ধরনের কোনো প্রভাব আছে কি না, তা নির্ধারণের মতো যথেষ্ট তথ্য এখন পর্যন্ত তাদের হাতে নেই।
Leave a Reply