রাজধানীর ফুলবাড়িয়া ও গুলিস্তান এলাকার সিটি করপোরেশনের মার্কেটগুলোতে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে সংস্থাটি। ইতোমধ্যে ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটের তিনটি ব্লকেই মূল নকশার বাইরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা দোকানপাট উচ্ছেদ শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে গতকাল সকালে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। এর প্রতিবাদে দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা দোকানগুলো বৈধ। এসব দোকান ১৯৯৭ সালে বরাদ্দ দিয়েছিলেন প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ। সেই থেকে দোকানের ভাড়াও তারা নিয়মিত নগরভবনে জমা দিচ্ছেন এবং প্রতিটি দোকানের বিপরীতে ট্রেড লাইসেন্সও রয়েছে। তবে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, আন্ডারগ্রাউন্ড বা পার্কিংয়ের এসব দোকানপাট নকশাবহির্ভূত।
জাকের প্লাজা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘১৯৯৭ সালে ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট ২-এর তিনটি ব্লকে ৬৩৪টি দোকান অস্থায়ীভাবে বরাদ্দ দিয়েছিলেন প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ। ওই বরাদ্দপত্রে শর্ত ছিল- ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করে পার্কিং উচ্ছেদ করতে হবে। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের ৩০ দিন আগে নোটিশ দিয়ে তা জানাতে হবে। কিন্তু হুট করে পার্কিংয়ে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।’
ব্যবসায়ী আলমগীর নূর বলেন, ‘২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত এ দোকানগুলোর ভাড়া সিটি করপোরেশনে পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু এখন দোকান উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এভাবে গণহারে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করলে সবাইকে পথে বসতে হবে।’
এ বিষয়ে অভিযানের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের নির্দেশেই উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। মার্কেটের মূল নকশার বাইরে সব অবৈধ স্থাপনাই উচ্ছেদ করা হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের কোনো দাবি বা কথা থাকলে কথা বলতে হবে ওনার (মেয়র তাপস) সঙ্গে।’
Leave a Reply