বগুড়ার আদমদীঘিতে ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে পরকীয়া করতে এসে ওই ছাত্রীর বাবার হাতে ধরা খেয়েছেন শিক্ষক। গত মঙ্গলবার রাতে ধরা পরা হাসান নামের ওই শিক্ষক গতকাল বুধবার তিন লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। হাসান ছাতিয়ান গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ছাতিয়ান গ্রাম বাজার এলাকার নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মেয়েকে বাড়িতে গিয়ে প্রাইভেট পড়ান হাসান। মেয়েকে বাড়িতে গিয়ে পড়ানোর সূত্র ধরে ও্ ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই শিক্ষকের। বিষয়টি ওই গৃহবধূর স্বামী জানতে পেরে শিক্ষকের ওপর নজর রাখেন।
ওই শিক্ষক গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ওই ছাত্রীর মায়ের ঘরে প্রবেশ করলে ওই ছাত্রীর বাবা ঘরের বাইরে থেকে দরজাতে তালা লাগিয়ে দিয়ে চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে জড়ো হন। পুলিশ খবর পেয়ে ওই দিন রাতেই ঘটনাস্থলে এসে আটক দুজনের সঙ্গে কথা বলে আইনগত কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক আবুর নেতৃত্বে গতকাল বুধবার দুপুর পর্যন্ত আটক রাখা ওই শিক্ষককে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আনা হয়। চেয়ারম্যান অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন এবং তার লিখিত মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।
এ ব্যাপারে ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হক আবু সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিক বার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভি না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দীন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ বাদী হননি। এ কারণে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।’
Leave a Reply