তাপমাত্রা খুব বেশি না কমলেও কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে পড়ছে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা। প্রায় সারাদিনই দেখা মেলেনি সূর্যের। এই অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ একে নাজমুল হক বলেন, ‘এখন ঘন কুয়াশা বলতে গেলে দেশের সবখানে। রংপুর, খুলনা, চট্টগ্রামের কিছু এলাকা ছাড়া সর্বত্রই কুয়াশা তার চাদর বিছিয়েছে। তবে এটি অস্বাভাবিক নয়, শীতের আগমনের এমন সময়ে কুয়াশার বিস্তার থাকেই।’ এক প্রশ্নের উত্তরে নাজমুল হক বলেন, ‘উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ অবস্থান করছে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায়। উত্তরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। শীত তো জেঁকে বসতে একটু সময় লাগবেই। তবে কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমবে; তখন শীতও বাড়বে।’
দেশে গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রংপুর বিভাগের রাজারহাটে, ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ২ এবং সর্বোচ্চ ২৬ দশমিক শূন্য ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শীতকালে পশ্চিমা লঘুচাপের
প্রভাবে এ অঞ্চলে, বিশেষ করে দিল্লি হয়ে বাংলাদেশের আকাশে মেঘ আসছে। এই মেঘ যখন বাংলাদেশে আসে, তখন আর্দ্রতা কমে গিয়ে কুয়াশায় রূপ নেয়। সেই কুয়াশা অনেক সময় তিন-চার দিন পর্যন্ত থাকে। দিনের বেলা সূর্য ওঠার পর একটু কমে গেলেও বিকালের দিকে কুয়াশা ভাব আবার বেড়ে যায়। রাত যত বাড়বে, কুয়াশা তত বাড়বে। সকালের দিকে এটি আরও বেশি বাড়বে। যেহেতু বাতাস নেই, কুয়াশা কাটতে সময় লাগছে। বাতাস থাকলে আরও আগে কেটে যেত। এই কুয়াশা আরও দু-তিন দিন থাকতে পারে।
Leave a Reply