অর্থ আত্মাসাৎ ও কর ফাঁকির মামলায় জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আজ সোমবার আদালতে হাজির করা হয়। এদিন সকাল সাড়ে ৯টার পর পুরান ঢাকার বকশিবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক সৈয়দা হোসনে আরার আদালতে তাকে হাজির করা হয়। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দুই মামলার শুনানি পেছানো হয়।
আদালত অর্থ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ২৮শে ডিসেম্বর ধার্য করেছেন এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) করা আয়কর ফাঁকির আরেক মামলায় বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। আগামী ৬ই জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
আজ কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে বকশিবাজারের বিশেষ জজ আদালতে নেওয়া হয়। বেলা পৌনে ১১টার আবার কারাগারের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সাঈদীকে বকশীবাজারের আদালতে হাজির করার কারণে ওই এলাকায় পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তালিকাভুক্ত আইনজীবী ছাড়া আর কাউকেই আদালতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
ইফার যাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) আইয়ুব আলী চৌধুরী ২০১০ সালের ২৪শে মে শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী ২০১২ সালের ৩০শে এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
অর্থ আত্মসাতের মামলায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ছয়জন আসামি।
অপর পাঁচ আসামি হলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল হক, মসজিদ কাউন্সিল ফর কমিউনিটি অ্যাডভান্সমেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বন্ধুজন পরিষদের প্রধান সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুস, ইসলামী সমাজ কল্যাণ কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ কাউন্সিলের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হক। এদের মধ্যে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কারাগারে আছেন। আবুল কালাম আজাদ এবং আব্দুল হক পলাতক রয়েছেন। অপর তিন আসামি জামিনে আছেন।
এদিকে, দুই কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার ১২০ টাকা আয় গোপন করে তার ওপর প্রযোজ্য ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮১২ টাকা কর ফাঁকির অভিযোগে ২০১১ সালের ১৯শে আগস্ট এনবিআর মামলা করে। পরের বছর ১৫ই সেপ্টেম্বর মামলায় সাঈদীর বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদ-ের আদেশ নিয়ে করাগারে আছেন।
Leave a Reply