1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৪ অপরাহ্ন

৫ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১১ বিলিয়ন ডলার

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২০

অক্টোবর মাসের চেয়ে নভেম্বরে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় কিছুটা কমলেও গত বছরের নভেম্বর মাসের তুলনায় সদ্য বিদায়ী নভেম্বর মাসে প্রবাসী আয়ে বেড়েছে ৫২ কোটি ডলার। নভেম্বরে প্রবাসীরা ২০৭ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। গত বছরের নভেম্বরে তারা পাঠিয়েছিলেন ১৫৫ কোটি ৫২ লাখ ডলার। গত পাঁচ মাসে ( জুলাই- নভেম্বর) প্রবাসীরা প্রায় ১১ বিলিয়ন (১০.৯০৪ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, আগের মাস অক্টোবরের চেয়ে নভেম্বরে ৪ কোটি ডলার কম এসেছে। গত অক্টোবরে তারা ২১১ কোটি (২ দশমিক ১১ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এই অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে প্রবাসী আয় এসেছে এক হাজার ৯০ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে প্রবাসীরা ৭৭১ কোটি ৬২ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন। অর্থাৎ এই অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে আগের অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের তুলনায় প্রবাসীরা ৩১৯ কোটি ডলার বেশি পাঠিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ইউরোপ এবং আমেরিকা থেকে আগের চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। ওই দেশগুলোর প্রবাসীরা লাভের আশায় বাংলাদেশে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছেন। তারা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ফ্ল্যাট কিনছেন। তবে রেমিট্যান্স বাড়ার নেপথ্যের কারণ হিসেবে সরকারের দুই শতাংশ নগদ প্রণোদনাকে দেখা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ এর ধাক্কায় সারাবিশ্বের স্বাভাবিক অর্থনীতি যখন টালমাটাল অবস্থায় তখনও বাংলাদেশে প্রবাসীরা রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে করোনাকালে প্রবাসীরা কয়েকগুণ বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।

করোনাভাইরাসের মধ্যে প্রবাসী আয় বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যাংকগুলোতে ডলারের উদ্বৃত্ত দেখা দিয়েছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার কারণে ব্যাংকের হাতে প্রচুর তারল্য এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত বছরের অক্টোবরের চেয়ে এই বছরের অক্টোবরে প্রায় ৫০ কোটি ডলার বেশি পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এর আগে প্রবাসী বাংলাদেশিরা গত সেপ্টেম্বরে ২১৫ কোটি (২ দশমিক ১৫ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন। যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা ১৪৭ কোটি ৬৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। গত আগস্টে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৬ কোটি ডলার। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে প্রবাসীরা ২৫৯ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। একক মাস হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনও এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। শুধু তাই নয়, ইতিহাস বলছে এখন থেকে বিশ বছর আগে অর্থাৎ ২০০১-০২ অর্থবছরের পুরো সময়ে (১২ মাসে) রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫০ কোটি ১১ লাখ ডলার।

এদিকে রেমিট্যান্সে ভর করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে গেছে। অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।

দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিভিন্ন দেশে থাকা ১ কোটির মতো বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ। দেশের জিডিপিতে এই রেমিট্যান্সের অবদান প্রায় ১২ শতাংশের মতো।

প্রসঙ্গত, বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়াতে গত বছরের মতো এবারও ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করেছে সরকার। সে অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে প্রবাসীরা প্রতি ১০০ টাকার বিপরীতে ২ টাকা প্রণোদনা পাচ্ছেন। বাজেটে এ জন্য ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত করে কোনও কোনও ব্যাংক আরও ১ শতাংশ বেশি প্রণোদনা দিচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com