পাট, বস্ত্র ও পোশাকশিল্পের মতো দেশের বৃহত্তম রাইস মিল সেক্টরের নেতারাও ১০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তারা সরকার নির্ধারিত ৩৭ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহ করা যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। এ জন্য তারা ধানের সঙ্গে চালের বাজারমূল্য সমন্বয় করার দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল বুধবার দুপুরে বগুড়ায় একটি চাইনিজ রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভায় এ দাবি জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবদুর রশিদ।
কুষ্টিয়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কেএম লায়েক আলী, কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও দিনাজপুরের মিল মালিক মোহন পাটোয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আজিজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার হাজি এরফান আলী, সংগঠনের উপদেষ্টা ও নেত্রকোনার মিল মালিক এইচআর খান পাঠান সাকী, নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের রফিকুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলার
সভাপতি আলহাজ নাজির হোসেন প্রধান, বগুড়ার সভাপতি এটিএম আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক দুদু, রংপুরের সামছুল ইসলাম বাবুসহ উত্তরের বিভিন্ন জেলার চালকল মালিকরা।
বক্তারা বলেন, চালশিল্প রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাজারে ধানের মূল্যের সঙ্গে চালের মূল্য সামঞ্জস্য করতে হবে। ধানের বাজার ভালো, এবার কৃষক ভালো দাম পেয়েছেন। কিন্তু সরকার নির্ধারিত ৩৭ টাকা মূল্যে চাল তারা সরবরাহ করতে পারবেন না। সরকারকে সহযোগিতার জন্য প্রয়োজনে লাভ না হলেও বর্তমান বাজার অনুযায়ী চালের দাম দেওয়ার আহ্বান জানান।
বক্তারা আরও বলেন, গত বোরো মৌসুমে মিল মালিকরা লোকসান দিয়ে চাল সরবরাহ করেছেন। করোনাকালে চালকল মালিকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই এবার আর কোনোভাবেই ভর্তুকি বা লোকসান দিয়ে চাল সরবরাহ সম্ভব নয়। পাশাপাশি তারা চুক্তির সময় বর্ধিত করারও দাবি জানান।
Leave a Reply