উত্তরের সীমান্ত জেলা দিনাজপুরে জেঁকে বসেছে শীত। আজ সোমবার জেলায় বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। হঠাৎ শীতে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ার শীতে দিন-মুজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ নাকাল হয়ে পড়েছেন। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্য উদিত হলেও কমছে না শীতের প্রকোপ। শীতবস্ত্রের অভাবে শীতের প্রকোপ থেকে মুক্তি পেতে অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। সকালে ধান গাছ, ঘাষ, ফুল, লতা-পাতাগুলো শিশিরে ভেজা থাকছে। সূর্যের আলোয় ঝিলিক দিচ্ছে শিশির ফোটায়।
রোববার সন্ধ্যা থেকে জেলায় জেঁকে বসে কন কনে শীত।
শীতে সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগে পড়েছেন বয়স্ক ও শিশুরা। ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। হাসপাতালে বেড়ে চলেছে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা। হঠাৎ শীতে শ্রমজীবি মানুষেরা চরম দুর্দশায় পড়েছেন। ঠান্ডার কারণে ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না তারা।
এদিকে শীত মোকাবিলায় দিনাজপুরে জেলা প্রশাসক ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। ইতিমধ্যে জেলার ১৩টি উপজেলায় প্রতিটি (১০২টি) ইউনিয়নে ৪৬০টি করে কম্বল এবং এক হাজার পিস শুকনো খাবারের প্যাকেট পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম। তিনি জানান, শীত মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত চাহিদা পত্রের অর্ধেক শীতবন্ত্র কম্বল ৫৩ হাজার পিস ইতিমধ্যে পাওয়া গেছে। এছাড়াও বে-সরকারিভাবেও পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়।
এদিকে দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন জানিয়েছেন, দিনাজপুরে আজ সোমবার বছরের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রর্তা ৯৪।২/৩ দিনে তাপমাত্রা আরো কমবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Leave a Reply