1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩০ অপরাহ্ন

পরমাণু চুল্লির প্রথম পাত্র রূপপুরে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২০

ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের মূল যন্ত্র রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল (চুল্লিপাত্র) প্রকল্প এলাকার নদীবন্দরে এসে পৌঁছেছে। রাশিয়া থেকে নিয়ে আসা হয়েছে একটি স্টিম জেনারেটরও। সূত্র বলছে, গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার কিছু পর প্রকল্প এলাকার নবনির্মিত জেটিতে নোঙর করেছে চুল্লিপাত্র এবং জেনারেটরবাহী বিশেষায়িত বার্জ। নৌবাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় এটি মোংলা বন্দর থেকে রূপপুরে আনা হয়। যন্ত্র দুটি নির্মাণ করা হয়েছে রাশিয়ার বৃহত্তম নিউক্লিয়ার শিল্প এলাকা ভোলগাদোনস্কে।

চুল্লিপাত্রটির ওজন ৩৩৩ দশমিক ৬ টন এবং স্টিম জেনারেটরের ওজন ৩৪০ টন। এর আগে আগস্টের শেষ দিকে রাশিয়ার পেট্রোজাবাদ বন্দর থেকে যন্ত্র দুটি নিয়ে বিশেষ জাহাজ বাংলাদেশে রওনা দেয়। ১৪ হাজার কিলোমিটার আন্তর্জাতিক নৌপথ পাড়ি দিয়ে সেগুলো গত ২০ অক্টোবর মোংলা বন্দরে পৌঁছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এআরবিকে (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরমাণুবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন) বলেন, ‘রাশিয়া থেকে এত পথ পাড়ি দিয়ে যন্ত্রগুলো রূপপুরে পৌঁছানোর বিষয়টিতে প্রকল্পটি নিয়ে জনগণ আরও আস্থা পাবে। এটি রাশিয়ায় বিখ্যাত নদী ভোলগা থেকে বাংলার আরেক নদী পদ্মায় আসতে বেশ সময় লেগেছে।’

তিনি আরও জানান, ‘রাশিয়ায় কয়েকটি শহরে রূপপুরের সব ধরনের যন্ত্রপাতি সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়েই তৈরি হচ্ছে। এর মাধ্যমে পরমাণু প্রযুক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে আরও একধাপ এগিয়ে গেল দেশ।’

চুক্তি অনুযায়ী দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২২ এবং দ্বিতীয়টি ২০২৩ সালে নির্মাণ শেষ করবে রাশিয়ান ঠিকাদার এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট। যথাক্রমে পরের বছর থেকেই পরমাণু জ্বালানি ইউরোনিয়াম লোড করে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করবে।

ইতোমধ্যে রূপপুরে প্রথম ইউনিটের ভৌত কাঠামোর কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মো. শৌকত আকবর এআরবিকে বলেন, ‘নতুন বছরের শুরুতেই এগুলোকে রূপপুরের ভৌত কাঠামোর মধ্যে স্থাপন করা হবে। সব ঠিক থাকলে, আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল ওই ভৌত কাঠামোর ভেতর স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হবে। এর পর কাঠামোর উপরিভাগে ছাদ (বিশেষ ডোমের) নির্মাণ কাজ শুরু হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানদ- অনুসরণ করে নির্ধারিত সময়সূচি ঠিক রেখেই কাজ চলছে রূপপুরে। করোনা মহামারীতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুরো দমে কাজ চলছে রূপপুরে।’

রাশিয়ার ঋণ ও দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পরমাণু সংস্থা-রোসাটমের কারিগরি সহায়তায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে দেশের প্রথম এ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। জনবল প্রশিক্ষণসহ প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা; যার ৯০ ভাগ ঋণ সহায়তা দিচ্ছে রাশিয়া।

উল্লেখ্য, ভিভিইআর-১২০০ চুল্লিবিশিষ্ট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ‘থ্রি-প্লাস (৩+ জেনারেশন শ্রেণিভুক্ত; এ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও চুল্লি একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চালু থাকবে) প্রযুক্তির।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com