এখন থেকে চেক প্রত্যাখ্যানের (চেক ডিজঅনার) মামলার বিচার চলবে শুধু যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে। এই আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ পক্ষকে আপিল করতে হবে দায়রা জজ আদালতে। আর অতিরিক্ত দায়রা জজ কিংবা দায়রা জজ আদালতে এ ধরনের মামলার শুনানি হবে না।
গতকাল রবিবার পৃথক তিনটি রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চ এই রায় দেন। এই রায় প্রসঙ্গে রিটকারী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. হুমায়ুন কবির পল্লব সাংবাদিকদের বলেন, নেগোসিয়েবল ইন্সট্রুমেন্টস অ্যাক্টের
১৩৮ ধারার চেক ডিজঅনারের মামলা ইতিপূর্বে যুগ্ম দায়রা জজ, অতিরিক্ত দায়রা জজ ও দায়রা জজ আদালতে শুনানি হতো। দায়রা জজ আদালত নির্ধারণ করতেন মামলাটি কোন আদালতে শুনানির জন্য পাঠানো হবে। কোনো মামলা যদি যুগ্ম দায়রা জজ আদালত শুনানি করে রায় দিতেন তা হলে সাজাপ্রাপ্ত আসামি দায়রা জজ আদালতে আপিলের সুযোগ পেতেন। কিন্তু একই অপরাধের জন্য একই পরিমাণ শাস্তি হলেও মামলাটি যদি অতিরিক্ত দায়রা জজ অথবা দায়রা জজ আদালতে শুনানি হয়ে রায় হতো তা হলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে আপিল করতে হতো হাইকোর্টে। এই বিধানটি বৈষম্যমূলক যা সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
প্রসঙ্গত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার এএএম জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে তিনটি চেকের মামলার বিচার চলছিল। ওই কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে পৃথক তিনটি রিট আবেদন দায়ের করা হয়। ২০১৮ সালে হাইকোর্ট রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রুল জারি করে। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে গতকাল হাইকোর্ট এ রায় দেন।
Leave a Reply