নিখোঁজের ৬ দিন পর গৃহবধূ আফরোজা বেগমের লাশ শ্বশুরবাড়ির উঠানের মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাত ১১টায় কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা গ্রামে স্বামী রাকিব হাসান বাপ্পির বাড়ির আঙিনায় মাটির নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত আফরোজা উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পুঁইছড়া গ্রামের মো. ইসহাকের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এক বছর আগে উত্তর নলবিলা গ্রামের হাসান বশিরের ছেলে বদরখালী কলেজের খ-কালীন প্রভাষক রাকিব হাসান বাপ্পির সঙ্গে আফরোজার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই ছিল। এর জেরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা পর্যন্ত হয়। কিছুদিন আগে আপসের মাধ্যমে বাপ্পি আফরোজাকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। এরই মধ্যে গত ১২ অক্টোবর বাপ্পির মা রোকেয়া হাসান তার পুত্রবধূ আফরোজা নিখোঁজ হয়েছে বলে আফরোজার বাবার
বাড়িতে খবর দেয়। নিখোঁজের খবর পেয়ে আফরোজার বাবা মহেশখালী থানাকে অবগত করেন এবং পুুলিশ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। অপরদিকে রাকিব হাসান বাপ্পিও পালিয়ে যায়। বাপ্পি কেন পলাতক হলো এ নিয়ে পুলিশের পাশাপাশি পুরো এলাকার মানুষের সন্দেহ হয়।
এদিকে খবর পেয়ে এবং বাপ্পির ডিভোর্স দেওয়া প্রথম স্ত্রীর শিশু কন্যার তথ্যমতে, মহেশখালী থানার পুলিশ গত শনিবার বিকাল থেকেই মহেশখালী উপজেলার উত্তর নলবিলা এলাকায় অভিযান চালায়। রাত ১১টার দিকে পুলিশ আফরোজার শ্বশুরবাড়ির উঠানের এক কোনায় মাটি খুঁড়ে আফরোজার লাশ উদ্ধার করে।
মহেশখালী থানার ওসি মো. আবদুল হাই জানান, গতকাল রবিবার সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর আফরোজার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সবাই পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মহেশখালী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply