বিহারের ক্ষমতাসীন দল জেডিইউ থেকে বহিঃস্কৃত। তাহলে এবার কি তৃণমূলের পথে প্রশান্ত কিশোর? রাজনৈতিক পরামর্শদাতার ভবিষ্যৎ নিয়ে জোর জল্পনা ভারতের রাজনৈতিক মহলে। আপাতত প্রশান্ত কিশোরের ধ্যানজ্ঞান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ফের দিল্লির মসনদে বসানো। তারপর নিজের ভবিষ্যৎ ঠিক করবেন। তবে, রাজনৈতিক মহলের গুঞ্জন, জেডিইউ পর্ব মেটার পর এবার সরাসরি তৃণমূলেই শামিল হয়ে যেতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির রাজনৈতিক পরামর্শদাতা।
বুধবারই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে মতানৈক্যের জেরে প্রশান্তকে বহিঃস্কার করেছে সংযুক্ত জনতা দল। দল থেকে বহিঃস্কৃত হওয়ার পর নীতীশ কুমারকে সূক্ষ কটাক্ষও করেছেন।তিনি। নম্র ভাষায় প্রশান্তের শ্লেষাত্মক টুইট, “ধন্যবাদ মাননীয় নীতীশ কুমার। বিহারের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ধরে রাখার জন্য আমার শুভেচ্ছা।” রাজনৈতিক মহলের ধারণা, নীতীশকে বিদায় জানিয়ে এবার সরাসরি মমতার হাত ধরতে পারেন প্রশান্ত। কারণ, বিজেপির রাস্তা তার জন্য বন্ধ। ২০১৭ সালের উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে ব্যর্থতার পর গান্ধী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও তেমন বনিবনা নেই পিকের।আর দক্ষিণের কোনো দলে তিনি যাবেন না। কারণ, দক্ষিণ থেকে দিল্লির রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
সে অর্থে দেখতে গেলে, তার হাতে মোটে গোটা দু’য়েক বিকল্প থাকছে। এক, মমতা ব্যানার্জি। দুই, অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দু’জনের সঙ্গেই আপাতত কাজ করছেন প্রশান্ত। তবে, এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতিতে কেজরির থেকে অনেক বেশি সক্রিয় মমতা। আর মোদি-বিরোধী অন্যতম সেরা মুখও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তাই, প্রশান্ত কিশোরের তৃণমূলে যোগ দেয়ার সম্ভাবনাটা একেবারেই উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া, সামনেই এ রাজ্যের বেশ কয়েকটি রাজ্যসভার আসন ফাঁকা হচ্ছে। তৃণমূলে যোগ দিলে তিনি শিগগিরই রাজ্যসভার এমপিও নির্বাচিত হতে পারবেন।
প্রশান্তের তৃণমূলে যোগের জল্পনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না দলও। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় । এ প্রসঙ্গে বলছেন, “ও দলে যোগ দেবে কিনা, সেটা দল ঠিক করবে। এখন আমাদের দলের হয়ে একটা কাজ করছেন। এবং সেটা সুনামের সঙ্গে করছেন। ওর সঙ্গে অভিষেকও আছে। আমরা তথ্য দিচ্ছি, তিনি সেটাকে পর্যালোচনা করছেন। এবার তিনি আমাদের দলে যোগ দেবেন কিনা, নেয়া হবে কিনা, সেটা দল ঠিক করবে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
Leave a Reply