বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি হাতে পেয়েছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামির অভিভাবক। কপি পাওয়ার পর মেয়ের পক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হক কিশোর। এ ছাড়া অন্য পাঁচ দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির অভিভাবকও ঢাকা আসছেন।
আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে পূর্ণাঙ্গ রায়ের সার্টিফাইড কপি হাতে পান কিশোর। রায়ে বলা হয়েছে, ‘মিন্নিই ছিল রিফাত শরীফ হত্যার মাস্টারমাইন্ড।’
এ তথ্য নিশ্চিত করে মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম আমাদের সময়কে বলেন, ‘রায়ের কপি আজ সন্ধ্যার দিকে হাতে পেয়েছি। রায়ের কপি নিয়েই মিন্নির বাবা আজ রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। আগামীকাল রোববার উচ্চ আদালতে আপিলের জন্য আবেদন করবেন তিনি।’
এ ব্যাপারে মোজাম্মেল হক কিশোরের সঙ্গে কথা বলতে তার মোবাইলে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
গত বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ছয় আসামির সবাইকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। খালাস দেওয়া হয় চারজনকে। তারা হলেন- রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২১), সাগর (২০), মুসা (২৩) ও কামরুল ইসলাম সাইমুনকে (২২)।
রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৪), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২২), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (২০), রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২৩), হাসান (২০) ও মৃত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির (২০) আগামী ৭ দিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ রয়েছে।
এ হত্যার ঘটনায় পুলিশ দুই ভাগে বিভক্ত করে ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর থেকেই প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিচার চলে এ আদালতে। বাকি ১৪ অপ্রাপ্ত বয়স্ক আইনের সংঘাতে জড়িত শিশুদের বিচার চলমান রয়েছে শিশু আদালতে।
রায় ঘোষণার পর মিন্নিসহ ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামিকে বরগুনা জেলা কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। এই কনডেম সেলে রিফাত হত্যার ছয় আসামি ছাড়া অন্য কোনো কারাবন্দি নেই বলে কারাকর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে।
Leave a Reply