ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি পারাবত-১১ লঞ্চের কেবিনে ধর্ষণের পর হত্যাকা-ের শিকার নারীর পরিচয় মিলেছে। লাবণী নামের ওই নারী দুই ছেলের জননী। তার স্বামী ইলেকট্রিশিয়ান। ঢাকার পল্লবী-২ নম্বর এলাকার বাসায় থাকতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায়। তবে পুলিশ ঘাতককে শনাক্ত করলেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ওই নারীর লাশ শনাক্ত করেন তার পরিবারের সদস্যরা। পরে তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে নৌ পুলিশ।
নৌ পুলিশ সূত্র জানায়, চাকরির প্রলোভনে পড়ে গত সোমবার ঢাকার সদরঘাট থেকে একজনের সঙ্গে লঞ্চযোগে বরিশাল আসছিলেন ওই নারী। রাত ৯টা পর্যন্ত লাবণীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় তার বাবার। পরদিন সোমবার সকালে লঞ্চের কেবিন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে
হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের পরিদর্শক মামুনুর রশিদ। তবে তার সঙ্গে থাকা ওড়না ও ব্যাগসহ অন্যান্য আলামত নিয়ে যাওয়ায় পুলিশ তাৎক্ষণিক ওই নারীর পরিচয় উদঘাটন করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত আঙুলের ছাপ অনুযায়ী তার পরিচয় উদঘাটন করে পুলিশ। পরে তার স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে হাসপাতাল মর্গের হিমঘরে ওই নারীর লাশ শনাক্ত করেন তার বাবা ও ভাই। সোমবার ওই নারীর লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নৌ থানার পরিদর্শক আবদুল্লাহ-আল মামুন বলেন, স্বজনরা শনাক্ত করার পর লাশ তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের করা মামলার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply