দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আগামী ১৫ অক্টোবর এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচারকাজ শুরু হলো। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন। এরপর আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আবদুর রহমান বদি অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরুর আগে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের চতুর্থ তলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এজলাসে আসেন। শুনানির সময় তিনি আসামির কাঠগড়ায় ছিলেন।আদালতে বদির আইনজীবী তার মক্কেলকে নির্দোষ দাবি করেন। বদির আইনজীবী মামলা থেকে তার অব্যাহতির আবেদন করেন।
বদির আইনজীবী রফিকুল ইসলাম আদালতকে বলেন, ‘ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার মক্কেলকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’ তিনি বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য সময় প্রার্থনা করেন।
অন্যদিকে, বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আদালতে আবেদন করেন দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার হোসেন লাভলু। তিনি আদালতকে বলেন, ‘দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্তে বদির তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই তার (বদি) আইনজীবীর করা আবেদনও বাতিল করা হোক।’
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বদির আইনজীবীর করা আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরে বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এ সময় বিচারক বদিকে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনান। বদি আদালতের কাছে নিজেকে নির্দোষ হিসেবে দাবি করেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, বদির বিরুদ্ধে ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৪ টাকার তথ্য গোপন এবং ৬৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে মামলা করে দুদক। পরের বছর তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরপর বদি উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে এলে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত থাকে। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে দীর্ঘদিন পর ২০১৭ সালে মামলাটি সচল হয়।
দুদকের আইনজীবী সানোয়ার হোসেন লাভলু জানান, আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু সেখানে বিচারক না থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক হিসেবে জেলা ও দায়রা জজ ইসমাইল হোসেন মামলাটি পরিচালনা করছেন।
Leave a Reply