টাঙ্গাইল সদর থানার রসূলপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক অনিল কুমার দাস ও তার স্ত্রী কল্পনা দাস হত্যা মামলায় ছয় আসামির ডাবল কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার টাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- অনিল কুমার দাসের সৎ ভাই স্বপন কুমার দাস হত্যার সহযোগী জাহিদুল ইসলাম, মো. ফরহাদ, মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া, মঞ্জুরুল ইসলাম মিঞ্জু ও মো. শয়ান মিয়া।
একই সঙ্গে হত্যার পর ভিকটিমের লাশ গুমের অভিযোগে আসামিদের আরও সাত বছরের কারাণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রায় ঘোষণার সময় পাঁচ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে এবং শয়ান মিয়া জামিনে থেকে আদালতে হাজির হন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, আসামি স্বপন কুমার দাস অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজসে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অনিল কুমার দাস ও তার স্ত্রী কল্পনা দাসের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা করতে থাকে। স্বপন কুমার দাসের সঙ্গে অন্যান্য আসামিরা অনিল কুমারের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য তাকে দিয়ে তিনটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার পরিকল্পনা করেন।
২০১৭ সালের ২৬ জুলাই সন্ধ্যার পর আসামিরা অনিল কুমার দাসের বাড়িতে গিয়ে তাকে ও তার স্ত্রীকে হত্যা করেন। তাদের গলায় ১০টি ইট বস্তায় ভর্তি করে বাড়ির বাথরুমের সেফটি ট্যাংকির মধ্যে ফেলে রাখেন। পরে পুলিশ সেখান থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় পরদিন ভিকটিমদের ছেলে নির্মল কুমার দাস টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মামলাটিতে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভূক্ত ৩৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আসামিদের মধ্যে জাহিদুল ইসলাম ও মো. ফরহাদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু ভূঁঞা। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান ও চাঁন মিয়া।
Leave a Reply