‘আমেরিকার দুঃস্বপ্ন’ ওসামা বিন লাদেনের ভাতিজি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আলোচনায় নতুন উত্তাপ ছড়িয়েছেন। নুর বিন লাদিন (ইচ্ছা করেই নামের বানান এমন বেছে নিয়েছেন) বলেছেন, তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট দেখতে চান। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘একমাত্র’ এই রিপাবলিকান নেতাই পারেন আমেরিকাকে আরেকটি নয়-এগারো (১১ সেপ্টেম্বর) হামলা থেকে রক্ষা করতে।
রিয়াদভিত্তিক মাসিক সাময়িকী লিডারস জানিয়েছে, আল কায়েদার সাবেক নেতা ওসামার সৎ বড় ভাই ইসলাম বিন লাদেনের মেয়ে নুর লাদিন মনে করেন, যদি কোনো কারণে ডেমোক্র্যাটিক নেতা জো বাইডেন জয়লাভ করেন, তা হলে যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ার হামলার মতো আরেকটি বড় হামলার আশঙ্কা বেড়ে যাবে।
নিউইয়র্ক পোস্ট নুরকে উদ্ধৃত করেছে এভাবে- ‘[বারাক] ওবামা আর [জো] বাইডেনের শাসনামলে ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিস্তার লাভ করেছিল, সিরিয়া ও ইরাক ছাড়িয়ে তারা ইউরোপে ঢুকে পড়েছিল। ওদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প দেখিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি আমেরিকা ও ইউরোপকে বাইরের হুমকি থেকে রক্ষা করছেন। এমনকি কোনো হামলার আগেই তিনি সন্ত্রাসের শেকড় উৎপাটন করেছেন।’
নুর বিন লাদিনের জন্ম সুইজারল্যান্ডে, পরিবারের সঙ্গে থাকেন সে দেশেই। তবে তিনি নিজেকে ‘মনেপ্রাণে মার্কিন’ বলে বিবেচনা করেন। তিনি বলেছেন, এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বর্তমান প্রজন্মের কাছে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি নির্বাচন। তিনি এবার ট্রাম্পকেই সমর্থন করছেন।
নুর বলেন, ‘২০১৫ সালে ট্রাম্প যখন তার প্রার্থিতা ঘোষণা করেন, আমি তখন থেকেই তার সমর্থক। আমি দূর থেকেই তাকে দেখছি আর তাকে লক্ষ্যে অবিচল দেখে মুগ্ধ হচ্ছি। তাকে অবশ্যই দ্বিতীয় মেয়াদে জিততে হবে। এটি শুধু আমেরিকার ভবিষ্যতের জন্য নয়, সামগ্রিকভাবে পশ্চিমা সভ্যতার ভবিষ্যতের জন্য তার জয় জরুরি।’
নুর ব্যাখ্যা করেন, ‘গত ১৯ বছরে ইউরোপে যেসব সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, এসব নিয়ে ভেবেছি। এগুলো আমাদের সমূলে কাঁপিয়ে ছেড়েছে। [ইসলামি উগ্রবাদীরা] আমাদের সমাজে ও যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়েছে। পরিতাপের বিষয় এই যে, বামেরা পুরোপুরি এসব লোকের পক্ষ নিয়েছে।’
মিনেসোটার আইনপ্রণেতা ইলহান ওমরকে টেনে নুর বিন লাদিন আরও বলেন, ‘আমেরিকায় তো এখন জরুরি পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সে দেশে ইলহান ওমরের মতো লোক বাস করছে যিনি কিনা নিজের দেশকে প্রকাশ্যে ঘৃণা করেন।’ নুরের মা সুইস লেখক কারমেন ডাফুর। ১৯৮৮ সালে ইসলাম বিন লাদেনের সঙ্গে ডাফুরের বিয়েবিচ্ছেদ হয়।
Leave a Reply