কমিউনিটিকে মার্কিন ধারায় সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে অবিস্মরণীয় ভ’মিকা পালনকারি ‘নিউ আমেরিকান ডেমক্র্যাটিক ক্লাব ইনক’ আবারো একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো। ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে নিউইয়র্কে কর্মরত সাংবাদিকদের সৌজন্যে ‘ধন্যবাদ জ্ঞাপন পার্টি’ তথা ডিনার পার্টির আয়োজনের মধ্যদিয়ে প্রকারান্তরে এই সংস্থাটি দিপ্ত প্রত্যয়ে এগিয়ে চলার পথ সুগম করা হলো বলে সকলে মন্তব্য করেছেন। উল্লেখ্য, কমিউনিটিকে মূলধারায় জড়িত করার ক্ষেত্রে পথ-প্রদর্শক হিসেবে মোর্শেদ আলমের নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘নিউ আমেরিকান ডেমক্র্যাটিক ক্লাব ইনক’র ধারাবাহিকতায় ‘নিউ আমেরিকান ইয়ুথ ফোরাম’ এবং ‘নিউ আমেরিকান উইমেন্স ফোরাম’ গড়ে উঠেছে। অর্থাৎ নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী সকলের জন্যেই ডেমক্র্যাটিক পার্টির সাথে কাজের সুযোগ অবারিত হয়েছে।
অভিবাসীদের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক-প্রশাসনিক সকল সুবিধা ভোগের জন্যে মূলধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ততার বিকল্প নেই। সে আলোকেই ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় এই ৩টি সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে ইংরেজী নতুন বছরকে বরণ এবং বার্ষিক ডিনার উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন বর্তমান সময়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনে অন্যতম শক্তিমান ব্যক্তিত্ব ইউএস সিনেটর চাক শ্যুমার। সে ঘটনাটিকে অত্যন্ত তাৎপর্যময় হিসেবে গণমাধ্যমগুলো ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করেছে।
ইউএস সিনেট, হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভস, স্টেট পার্লামেন্ট, সিটি কাউন্সিল ইত্যাদি পর্যায়ে প্রবাসীদের ধাবিত হবার ক্ষেত্রে প্রচন্ড একটি আশার সঞ্চার করেছে বলেও মন্তব্য করা হচ্ছে। ‘এসবকিছুকেই সংগঠিতভাবে চ’ড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সকলের কমিটমেন্ট থাকতে হবে আমেরিকার কল্যাণে, সমাজের সকলের সাথে একাকার হতে হবে, সততা-নিষ্ঠার সাথে সাংগঠনিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত হতে হবে’-উল্লেখ করেন ডেমক্র্যাটিক পার্টির তৃণমূলের নেতা মোর্শেদ আলম। সাংবাদিকদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মোর্শেদ আলম বলেন, ‘সম্মুখে এগিয়ে চলার পথ-প্রদর্শক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন সাংবাদিকরা। এজন্যেই আজকের এ আয়োজন।’
এ সময় ‘নিউ আমেরিকান ইয়ুথ ফোরাম’র প্রেসিডেন্ট আহনাফ আলম বলেছেন, ‘আমরা শতভাগ সফলতা অর্জনে সক্ষম হবো যদি কমিউনিটির সকল তরুণ-তরুণী আমাদের প্ল্যাটফরমে জড়ো হন। এমন একটি জোটবদ্ধতার বিকল্প নেই বহুজাতিক এ সমাজে নিজের অধিকার ও মর্যাদা সুসংহত রাখতে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমগুলোর ভ’মিকাও অপরিসীম। সাম্প্রতিক সমাবেশের পর সংশ্লিষ্টরা সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে আমিও সশ্রদ্ধ সালাম জানাচ্ছি সাংবাদিকগণকে।’ উল্লেখ্য, ঐ সমাবেশে ইউএস সিনেটে বিরোধী দলীয় নেতা চাক শ্যুমারকে ‘বছরের সেরা সিনেটর’র এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
এ সময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নিউ আমেরিকান্স উইমেন ফোরামের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট শিরিন কামাল, নিউ আমেরিকান ডেমক্র্যাটিক ক্লাবের উপদেষ্টা হুসনে আরা হাসি, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহনেওয়াজ, ভাইস প্রেসিডেন্ট গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ এবং তৃণমূলের ডেমক্র্যাট হাসান আলী। গণমাধ্যম কর্মীগণের পক্ষ থেকে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশ প্রতিদিন উত্তর আমেরিকা সংস্করণের নির্বাহী সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার। আসছে নভেম্বরের জাতীয়, অঙ্গরাজ্য এবং সিটি প্রশাসনের নির্বাচনে যে সব বাংলাদেশী-আমেরিকান লড়ছেন তাদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজের আহবান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এই প্রবাসে আরো অসংখ্য সংগঠনের ভালো কাজের বিস্তারিত সংবাদ ফলাও করে প্রকাশ ও প্রচার করা হলেও সম্ভবত: নিউইয়র্কে এই প্রথম শুধু সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা সমাবেশ হলো। আয়োজক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, রীনা সাহা এবং লুলু মনসুরা, উইমেন ফোরামের নির্বাহী পরিচালক রোমানা জেসমীন, ভাইস প্রেসিডেন্ট সালেহা আলম, সেলিনা খানম, ডালিয়া চৌধুরী, ট্রেজারার সালমা ফেরদৌস, এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি রূপা আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
Leave a Reply