মেয়ের শিক্ষকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে সব হারালেন এক প্রবাসীর স্ত্রী। তার নগদ ৯ লাখ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ সর্বস্ব হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছেন মিজানুন রহমান মিজান নামে ওই গৃহশিক্ষক।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।
মিজান শুধু তার প্রেমিকাকে রেখে পালাননি, ঢাকায় বসবাসরত স্ত্রীকেও রেখে গেছেন। তার বাবার নাম মোসলেমে উদ্দিন। তারা কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আতাইকুলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ছি, বিষয়টি পরকীয়া। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
থানায় লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী নারী লিখেছেন, তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার ভুলবাড়িয়া ইউনিয়নের গনেশপুর গ্রামে। ৯ বছর আগে সুজানগর উপজেলার ঘোড়াদহ গ্রামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সন্তান জন্মের ৫ বছর পর ভালো ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তার স্বামী বিদেশে যান। এর কয়েকদিন পর তিনি মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন। সেখানে মেয়েকে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনে ভর্তি করে দেন।
অভিযোগপত্রে ওই নারী আরও লেখেন, এর কয়েকদিন পর তিনি মিজানুন রহমান মিজানকে মেয়ের গৃহশিক্ষক হিসেবে পড়ানোর দায়িত্ব দেন। কয়েকদিনের মধ্যে একে অপরের প্রেমে পড়েন তারা। দুই বছর ধরে তাদের পরকীয়া প্রেম চলে। এর মধ্যে জানাজানি হলে তিনি মিজানকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। গত মাসের প্রথম সপ্তাহে তাকে নিয়ে ঢাকার গাজীপুর যান মিজান। সেখানে ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এর মধ্যে বিয়ের কথা বললেই নানা টালবাহানা শুরু করেন মিজান। গত ২৯ আগস্ট ভগ্নিপতি শফিকুলের প্রেমিকাকে নিয়ে যান মিজান। সেখানে তারে রেখে মিজান পালান। পরে কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে গত বুধবার রাত ১১টার দিকে নানার বাড়ি রঘুনাথপুরে আসেন ওই নারী। পরদিন আতাইকুলা থানায় মিজান, তার বোন ও ভগ্নিপতির নামে অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী বলেন, ‘মিজান আমার গয়না, নয় লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছে। এ ছাড়া আমার স্বামীর পাঠানো আরও অনেক মূল্যবান উপহার দিয়েছি তাকে।’
Leave a Reply