1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্বেচ্ছাসেবক লীগের র‌্যালি থেকে ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চরম তাপপ্রবাহ আসন্ন বিপদের ইঙ্গিত দ্বিতীয় ধাপে কোটিপতি প্রার্থী বেড়েছে ৩ গুণ, ঋণগ্রস্ত এক-চতুর্থাংশ: টিআইবি সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার শহীদ ২ দিনের রিমান্ডে ‘গ্লোবাল ডিসরাপ্টর্স’ তালিকায় দীপিকা, স্ত্রীর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রণবীর খরচ বাঁচাতে গিয়ে দেশের ক্ষতি করবেন না: প্রধানমন্ত্রী জেরুসালেম-রিয়াদের মধ্যে স্বাভাবিককরণ চুক্তির মধ্যস্থতায় সৌদি বাইডেনের সহযোগী ‘ইসরাইলকে ফিলিস্তিন থেকে বের করে দাও’ এসএমই মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইরান ২ সপ্তাহের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র বানাতে পারবে!

পুরনো মন্ত্রে ভর করছেন ট্রাম্প

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলের প্রার্থিতা চূড়ান্ত হয়েছে। এখন চলছে প্রচারযুদ্ধ। নির্বাচনী প্রচারে স্বভাবসুলভ ভঙিতে এক প্রার্থী অপর প্রার্থীকে আক্রমণ করছেন। নির্বাচনে জয়ী হলে কী কী করবেন তার ফিরিস্তি দিচ্ছেন। তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন, তার প্রায় সবই ঘুরেফিরে একই ভাষ্য তৈরি করছে আর সেটি হলো- ‘মেক আমেরিকা গ্রেড এগেইন’ (আবার আমেরিকাকে মহান করো)। ঠিক এই মন্ত্র দিয়েই চার বছর আগে তিনি নির্বাচনী বৈতরণী পাড়ি দিয়েছিলেন। কিন্তু চার বছর পরও ট্রাম্প একই মন্ত্রের ওপর ভর করলেন? কৌশল হিসেবে এটি কেমন হলো? ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ দিয়ে কি আবারও জয়ী হবেন ট্রাম্প?- এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে নভেম্বর ৩ তারিখে নির্বাচনের ফলে।

রিপাবলিকানদের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো গত বৃহস্পতিবার। ওই অনুষ্ঠানেই ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন গ্রহণ করেন। এ সম্মেলনে প্রতিপক্ষ জো বাইডেনকে ‘আমেরিকার স্বপ্ন’ ধ্বংসকারী হিসেবে বর্ণনা করেছেন ট্রাম্প। দেশের অর্জিত গৌরব বিনাশ করতে পারেন বাইডেন- এমন মন্তব্যও করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ডেমোক্র্যাটরা জয়ী হলে বিভিন্ন শহরে সহিংস অরাজকতা দেখা দিতে পারে বলেও বলেন তিনি। ওই ভাষণে ট্রাম্প চল্লিশবারের বেশি বাইডেনের নাম নিয়ে তার সমালোচনা করেছেন। কিন্তু ডেমোক্র্যাটদের সম্মেলনে বাইডেন একবারও ট্রাম্পের নাম উচ্চারণ করে আক্রমণ করেননি। ধারণা করা যায়- সামনের দিনে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করাই ট্রাম্পের বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।

অর্থাৎ ‘আমেরিকার মহত্ত্ব¡’ রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন তিনি। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প যতই ‘আমেরিকা গ্রেড এগেইন’ বলেন না কেন- পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পেছনে বিগত চার বছরের শাসন বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এই চার বছরে কেমন শাসন পরিচালনা করেছেন, পররাষ্ট্রনীতি কেমন ছিল, অর্থনীতি কেমন ছিল- এসবই মার্কিন ভোটাররা বিবেচনায় আনবেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারে যে বিষয়গুলো সামনে এনেছেন সেগুলো ওপর থেকে সাজালে প্রথমেই আসে- করোনা ভাইরাসের মহামারীর মধ্যেও মার্কিন অর্থনীতিকে তিনি চাঙ্গা রেখেছেন। প্রথম নির্বাচনী প্রচারেই তিনি কর্মজীবী নাগরিকদের জন্য কর কর্তনের ঘোষণা দেন। করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সফল হিসেবেও দাবি করেন তিনি। যদিও চলমান মহামারীতে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছে বেশি মানুষ। এরপরই রয়েছে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের বিষয়টি। ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত নিজের অর্থনীতির সুবিধা দেখা। ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ মানে এই নয় যে ‘আমেরিকা একা’। বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব আসলে ট্রাম্পের নির্বাচনী কৌশল।

এবার আসা যাক নির্বাচনী জরিপ কী বলছে- বেশ কিছুদিন থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প সব জরিপেই বাইডেনের থেকে পিছিয়ে রয়েছেন। এমনকী ২০১৬ সালে যেসব অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প জয়ী হয়েছিলেন, সেসব অঞ্চলেও বাইডেনের পক্ষে সাড়া পড়েছে। ২৭ আগস্ট প্রকাশিত সংবাদমাধ্যম এপির এক জরিপে দেখা যায়- গোটা দেশে বাইডেন ট্রাম্পের চেয়ে ৭ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছেন। যে ১৪টি অঙ্গরাজ্যকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের দুর্গ হিসেবে ধরা হয়, সেগুলোর মধ্যে মাত্র ৩টিতে জয় পেতে পারেন ট্রাম্প। জর্জিয়া, আইওয়া ও টেক্সাস এই তিন অঙ্গরাজ্যে গত নির্বাচনে জিতেছিলেন ট্রাম্প। এই তিনটি এখনো ট্রাম্পের পক্ষে রয়েছে। কিন্তু অ্যারিজোনা, নাভাদা ও নিউ হ্যাম্পশফিয়ারে গত নির্বাচনে জয়ী হলেও এবার ট্রাম্পের হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে মার্কিন নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত চমক দেখিয়ে থাকে ইলেকট্র্রোরাল কলেজ ভোট- যে ম্যাজিকের কারণে গত নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন বেশি ভোট পেয়েও হেরে গেছেন। এটি মূলত নির্ধারণ করা আছে অঙ্গরাজ্যগুলোর জনসংখ্যার অনুপাতে। সর্বমোট ৫৩৮টি ইলেকট্রোরাল ভোট রয়েছে। যে রাজ্যে যে প্রার্থী জয়ী হবেন, সেই রাজ্যের সব ইলেকট্রোরাল ভোট জমা হবে তার থলিতে। আর যুক্তরাষ্ট্রের মসনদে বসতে গেলে অবশ্যই ২৭০ ইলেকট্রোরাল ভোটে জয়ী হতে হবে। কাজেই জনমত জরিপে এগিয়ে থাকলেও যে বাইডেন জয়ী হবেন তা না। বরং এই ভুলও ভেঙে দিয়েছে গত নির্বাচন। সেই নির্বাচনেও হিলারি ক্লিনটন জরিপে এগিয়ে ছিলেন। তবে সবকিছুর পরই এবার ট্রাম্পের সামনে কঠিন সময়।

ট্রাম্প যতই নিজের পক্ষে সাফাই প্রচার করুক- গত চার বছরে তার বিতর্কিত সিদ্ধান্তের অন্ত নেই। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার সঙ্গী ছিল বিতর্ক। অনেক বিষয়ে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি- যা বিশ্বে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ একদিকে তো ট্রাম্প অন্যদিকে- এমন দৃষ্টান্ত অনেক রয়েছে। এ কারণে আসন্ন নির্বাচনে জয়-পরাজয় ঠিক হবে ট্রাম্পের গত চার বছরের কাজের মূল্যায়নের ভিত্তিতেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com