প্রেমের টানে ভারতের ছত্রিশগড় রাজ্য থেকে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় প্রেমিকের বাড়িতে ছুটে এসেছেন এক ভারতীয় গৃহবধূ। তার নাম শ্রীমতি সুনিয়া সাউ (২৮)। তার সঙ্গে তিন বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব কুমার রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শ্রীমতি সুনিয়া সাউ ভারতের ব্লাশপুর ছত্রিশগড় রাজ্যের মঙ্গলি জেলার জেড়াগাও থানার মৃত ফাগুরাম সাউ ও রাজকুমারী দম্পতির মেয়ে। তিনি একই রাজ্যের ধনউড়া এলাকার রোহিত শর্মার স্ত্রী।
অন্যদিকে, প্রেমিক ওবাইদুল হকের (৩৬) বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সীমান্তঘেষা কাশিপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর চানদোলার পাড় গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আবুল কাসেম আলীর ছেলে।
গত ২৫ জুলাই দুই দেশের দালালের মাধ্যমে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের প্রেমিকের বাড়িতে আসেন তিনি। স্থানীয়দের চোখের আড়ালে গত এক মাস ধরে প্রেমিক ওবাইদুল হকের বাড়িতে ঘর-সংসার করে আসছিলেন ওই ভারতীয় তরুণী।
ভারতীয় ওই তরুণী বলেন, ‘প্রেম করে চার বছর আগেই ভারতের দিল্লীতে আমরা বিয়ে করেছি। আমি জন্মভুমি ও পরিবারের মায়া ত্যাগ করে বাংলাদেশে স্বামীর বাড়িতে এসেছি। আমার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তাই আমি এখানেই ঘর-সংসার করে থাকতে চাই।’
স্থানীয়রা জানান, ওবাইদুল হকের প্রথম স্ত্রী কল্পনা বেগম স্বামীর দ্বিতীয় বিয়েকে মেনে নিয়ে ঘর-সংসার করে আসছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে প্রথম স্ত্রী কল্পনা বেগমের সঙ্গে স্বামীর ঝগড়াঝাটি হওয়ায় ভারতীয় তরুণীর বিয়ের বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
তারা আরও জানান, ওবাইদুল হক ভারতে গিয়ে রাজমিস্ত্রীর কাজ করার সুবাদে ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে চার বছর আগেই ভারতের দিল্লী শহরে তাকে বিয়ে করে। তাদের ঘরে একটি তিন বছরের ছেলে সন্তানও রয়েছে। সেই সন্তানসহ ওই নারী এক মাস আগে সীমান্ত পেরিয়ে স্বামী ওবাইদুল হকের বাড়িতে চলে আসে।
ওবাইদুল হক প্রেম করে ভারতীয় তরুণীকে বিয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি বৈধভাবে ভারতে তাকে বিয়ে করেছি। সে বর্তমানে আমার সঙ্গে বাড়িতে অবস্থান করছে।’
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধীন কাশিপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমন্ডার মিরাজ বলেন, ‘ভারতীয় ওই নারীকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে।’
Leave a Reply