গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নাম ব্যবহার করে ‘ভুয়া নিয়োগপত্র’ দিয়ে ‘ইউনিয়ন সমন্বয়কারী’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ওই নিয়োগপত্র ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নামে টাকাপ্রাপ্তির রশিদে যে ঠিকানা লেখা রয়েছে, সেটি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আসল ঠিকানা নয়। একই সঙ্গে ওই নিয়োগপত্র ও রশিদের নিচে যে কর্মকর্তাদের নাম, পদবী ও স্বাক্ষর রয়েছে, তারা কেউই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা নন।
‘ওই নিয়োগপত্র ও রশিদটিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের টাঙ্গাইলের গোপালপুর শাখা অফিসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং সেই অফিসের জন্যই লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’ জানিয়ে ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার বলেন, ‘আমাদের গোপালপুর শাখা অফিস নেই। এ ছাড়া সেখানে যে “ইউনিয়ন সমন্বয়কারী” পদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, এমন কোনো পদও আমাদের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান অফিস সাভারে এবং ধানমন্ডির ছয় নম্বর সড়কে আমাদের গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল রয়েছে। এ ছাড়া আর কোনো অফিস বা শাখা নেই।’
‘ভুয়া নিয়োগপত্রের বিষয়টি যেহেতু নজরে এসেছে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ম্যানেজমেন্ট অবশ্যই এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন’, যোগ করেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ।
এর আগে ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিট দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে’ বলে খবর প্রকাশ পায়। তখন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনা টেস্ট কিট ‘জি আর কোভিড-১৯ ডট ব্লট টেস্ট’ কিট এখন পর্যন্ত সরকারের অনুমোদন পায়নি, কোনো বিপণন হয়নি এবং কোনো প্রতিষ্ঠানকে করোনা পরীক্ষার জন্য দেওয়া হয়নি। এই কিট দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে যে খবর বেরিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এতদসংক্রান্ত কোনো ধরনের কিট পরীক্ষার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। কেউ যদি এ ধরনের কোনো তথ্য কোথাও পান, অনুগ্রহ করে স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ করছি বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল।
Leave a Reply