ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, রোববারের নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগের রুট ও এলাকার তথ্য পুলিশকে আগে থেকে জানানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী পুলিশের কাছে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাও চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ নিরাপত্তা দেয়নি। রোববার দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর গোপীবাগে নিজ বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
এর আগে রোববার দুপুর একটার সময় রাজধানীর গোপীবাগের সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের সামনে নির্বাচনী গণসংযোগ করার সময় দক্ষিণ বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের প্রচারণায় হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এই হামলার বিষয়ে কথা বলতেই গোপীবাগের নিজ বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ইশরাক।
সংবাদ সম্মেলনে কিছু কিছু পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে ইশরাক বলেন, গণসংযোগের তথ্য জানিয়ে পুলিশের কাছে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা চাওয়া হলেও পুলিশ নিরাপত্তা দেয়নি। কিছু কিছু পুলিশ দায়সারা ভাবে কাজ করছে। তারা আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীদের মত আচরণ করছে।
হামলার বিষয়ে ইশরাক বলেন, আমাদের গণসংযোগে বিনা উসকানিতে হামলা হয়েছে। ৭/৮ জন আহত হওয়ার কথা শুনেছি। হামলায় নয়া দিগন্তের সাংবাদিক ইকবাল মজুমদার তৌহিদসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করার বিষয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, এর আগেও হামলার বিষয়ে ইসিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, ইসি (নির্বাচন কমিশন) কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাছাড়া বিএনপির এক কাউন্সিলর প্রার্থীর উপর ইতোঃপূর্বে হামলার বিষয়ে অভিযোগ করা হলেও নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
রোববার গণসংযোগে হামলার সময় গুলিবর্ষণের ঘটনার ব্যাপারে ইশরাক বলেন, গণসংযোগ ও প্রচারণায় ব্যস্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা গুলিবর্ষণ করেছে বলে আওয়ামী লীগের অভিযোগের বিষয়ে ইশরাক বলেন, আমরা গুলি করবো কেন? বিএনপি নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন। আমরা মিছিল করছিলাম। তারা (প্রতিপক্ষ) গুলিবর্ষণ করেছে। জনগণ আওয়ামী লীগের কথা বিশ্বাস করে না।
সংঘর্ষ চলাকালে গুলি চালানো হয়েছে অভিযোগ করে তিনি আরো বলেন, গুলির শব্দ আপনারাও শুনেছেন। ঢিল ছোঁড়া হয়েছে, চেয়ার ছোঁড়া হয়েছে, এগুলো কেন করা হয়েছে? গুলি কারা ছুঁড়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই আমলে আমরা কোথা থেকে গুলি পাবো? আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হাতেই অস্ত্র আছে, এটা সবারই জানা।
ইশরাক বলেন, গণসংযোগ শেষে আমি আমার বাসার দিকে আসছিলাম, আমার পৈতৃক বাড়ি, দাদা বাড়িতে। আমি আমার বাসায় আসতে পারবো না? আমরা কোনো বাধা মানবো না, কোনো ভয় পাই না।
Leave a Reply