1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অশ্লীলতা না থাকলে ,আইটেম গানে নাচবেন অনন্যা ২০ হাজার বাংলাদেশীর পাসপোর্ট ফেরত দিয়েছে ভারত সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত : র‌্যাবকে সরিয়ে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ চট্টগ্রাম বন্দরের তেলবাহী ট্যাংকারে আগুন, নিখোঁজ ৩ প্রধান উপদেষ্টার বাড়ির সামনে ৩৫ প্রত্যাশীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ ইসরাইলের স্থল হামলা মোকাবেলায় জোরালো প্রস্তুতির ঘোষণা হিজবুল্লাহ উপ-প্রধানের সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, মুক্তি পাচ্ছেন গ্রেফতার ব্যক্তিরা আশুলিয়ায় শ্রমিকদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ, নিহত ১ মধ্যরাতে বিশেষ পাহারায় সীমান্ত অতিক্রম করেন ওবায়দুল কাদের এবার আত্মসমর্পণ করবেন সাংবাদিক শফিক রেহমান

সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করছে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০২০

ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। আইনটি অবিলম্বে বাতিলের দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আজ শুক্রবার উত্তরার ভাড়াবাসা থেকে অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দাবি জানান।

মানবাধিকার সংস্থাসমূহের তথ্য (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা) তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, চলতি বছরে গত ২২ জুন পর্যন্ত মামলা হয়েছে ১০৮টি, আসামি ২০৪ জন। তাদের মধ্যে সাংবাদিক ৪৪ জন, আর অন্যান্য পেশায় কর্মরত ও সাধারণ মানুষ ১৬০ জন। প্রায় ২৫ ভাগ আসামিই হলেন সাংবাদিক। যার মধ্যে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে ৯ , মার্চে ১৩, এপ্রিলে ২৪, মে’তে ৩১ এবং জুনের ২২ তারিখ পর্যন্ত ২১টি মামলা। গত বছর মামলা হয়েছে ৬৩ টি, ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও আইসিটি অ্যাক্ট মিলিয়ে মামলা হয়েছে ৭১ টি।

ফখরুল বলেন, বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৯ সালে এক বছরে মামলা হয়েছে ৬৩টি। সেখানে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই মামলা হয়েছে তার চেয়ে বেশি অর্থাৎ ১০৮টি। বাস্তব চিত্র আরো ভয়াবহ। অনেক মামলার খবরই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয় না। মানবাধিকার সংগঠনগুলোও খোঁজ পায় না। ফলে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সংখ্যার চেয়ে প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি।

ঢাকায় একমাত্র ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের থেকে মামলার হিসাব তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই বছরের মার্চ পর্যন্ত ডিজিটাল আইনে মামলা হয়েছে ৩২৭টি। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৮৬ টি, ফেব্রুয়ারিতে ১১৯ টি, মার্চে ১২২টি। ২০১৯ সালে এক হাজার ১৮৯টি মামলা হয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫৫০টির মতো মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। বিচারাধীন মামলা আছে এ পর্যন্ত মোট এক হাজার ৯৫৫টি। এর মধ্যে থানায় দায়ের করা এক হাজার ৬৬৮টি এবং আদালতে ২৮৭টি। ৫৫টি মামলা হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত আছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত জিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১৫৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করা হয়েছে। মামলার অভিযোগসমূহ বিশ্লেষনে দেখা যায় সরকারি দলের লুটেরাদের বিরুদ্ধে কথা বললে, রাজনৈতিক মত প্রকাশ করলে, সরকারের সমালোচনা করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হচ্ছে। এমনকি যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন তাদের কোনো দুর্নীতি কথা, তাদের কোনো বিবেক বর্জিত কীর্তিকলাপের কথাও যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অথবা প্রিন্টিং মিডিয়াতে প্রকাশ করে তাহলেও সাংবাদিক বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার ভয়ে আজ জাতির কণ্ঠ রুদ্ধ। বিএনপি শুরু থেকেই বলে এসেছে এই আইন সংবিধান বিরোধী এবং এটা আইন জনগণের কন্ঠরোধ করতে সরকারের হাতিয়ার। তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই আইন করেছে। অবিলম্বে এই আইনটি বাতিল করা উচিত এবং জনগণের চিন্তা-ভাবনা, তার স্বাধীনতার প্রকাশকে নিশ্চিত করতে হবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের চরিত্র হচ্ছে- মনোজগতে ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি করা এবং সেই ভয়ে কোনো কিছু করা। এতে যাদের ওপর আক্রমণ করা হবে তারা ছাড়া বাকীরা ভয় পেয়ে যাবে, কথা বলবে না। এটাই করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। মিডিয়াতে যারা এক সময়ে খুব সাহসী উচ্চারণ করতেন এখন কিন্তু তারা থেমে গেছেন। থেমে গেছেন অন্যান্য ঘটনাগুলো দেখে, অন্যান্য সাংবাদিকদের ওপর অত্যাচার-নিপীড়ন-নির্যাতন দেখে। সাধারণ নাগরিক, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, চিকিৎসকসহ সবার ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাংবাদিকসহ সবাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে প্রচন্ড সমালোচনা করার পরও ৯৪ শতাংশ মামলা হয়েছে এই বিতর্কিত ’৫৭ ধারায়। জারি হওয়ার দুই বছরের কম সময়ের মধ্যেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রতিক্রিয়া বেশ লক্ষ্যনীয় হয়ে উঠছে। এটাও মনে রাখা দরকার, এই আইন কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। দেশে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাহরণ প্রক্রিয়ারই একটা অংশ। যখনই কোনো সরকার কর্তৃত্বপরায়ন ও স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে, ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র পরিণত করতে চায় তখনই প্রথমে আঘাত হানে সংবাদ প্রকাশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে দমন করা। সেটাই এই সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে, সচেতনতার সঙ্গে করে চলেছে।’ এই অবস্থা থেকে উত্তরণে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান ফখরুল।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে সমস্ত আইন মানুষের অধিকারকে খর্ব করে, বাক স্বাধীনতা হরণ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে সেগুলোকে অবশ্যই বাতিল করব।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ১২ জন সাংবাদিককে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ইতিমধ্যে সংবাদপত্র, সম্পাদক পরিষদ তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে করে করে বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮‘র জন্য সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে লিখতে পারছেন না। দেশিয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই কালো আইন বাতিলের দাবি তুলেছে। আমাদের অনেক প্রতিথযশা সম্পাদক যাদের বিরুদ্ধে এই আইন মামলা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে এবং তাদেরকে আদালতে গিয়ে জামিন নিতে হয়েছে। এই আইনে নগ্ন শিকার হয়েছেন অন্যান্যদের মধ্যে ৮৫ বছরের বেশি বয়স্ক সম্পাদক আসাদউদ্দিন, সাংবাদিক কাজল ফকির, নেত্র নিউজের সম্পাদক তাসনিম খলিল, ব্যবসায়ীসহ অগ্রজ নিরহ নাগরিক। আমরা অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। আমরা মানব জমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ও প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ অন্যান্য সকলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত এইসব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com