বগুড়ার সান্তাহার উপজেলার আলোচিত কিশোর সিহাব হত্যা মামলার প্রধান আসামি শিপলু ও তার বাবাকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের দুজনকেই আদমদীঘি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
আসামি শিপলু ও তার বাবা এখলাছ উদ্দিন আত্মগোপনে ছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়া থেকে বাঁচতে শিপলু তার দাড়ি কেটে-মাথা ন্যাড়া করে ফেলেছিলেন। তারা দুজন ময়মনসিংহে আত্মগোপন করেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, শনিবার গ্রেপ্তারের পর গতকাল রোববার দুজনকে হত্যাকাণ্ডের স্থানে নিয়ে যায় পুলিশ। বেলা ১১টার সময় কদমা বেইলি সেতুর সামনে থেকে সিহাব হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে সিহাবের রক্ত মাখা গেঞ্জি ও স্যান্ডেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সিহাব হত্যা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আদমদীঘি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের পর আত্মগোপন করেন শিপলু। তিনি তার বাবার সঙ্গে ময়মনসিংহ অবস্থান করতে শুরু করেন। গ্রেপ্তার এড়াতে নিজের মাথার চুল ফেলে দেন, দাড়ি কেটে চেহারায় কিছুটা পরিবর্তন আনেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত শনিবার দুপুরে আদমদীঘি থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে শিপলু ও তার বাবা এখলাছ উদ্দিন ময়মনসিংহে আছেন। পরে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাদের অবস্থান আরও নিশ্চিত হয় পুলিশ। পরে জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা মধুপুর গ্রামের বাজারে তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অবস্থান নেয় পুলিশ। তবে উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বাবা-ছেলে।
উল্লেখ্য, ঈদের পরের দিন বিকেলে দমদমা উত্তর পাড়ার সোহাগের ছেলে সিহাবকে ভেবে গ্রামেরই পূর্ব পাড়ার সবজি বিক্রেতা হারুন অর রশিদের ছেলে সিহাবের গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি করজবাড়ী গ্রামের এখলাছের ছেলে শিবলু ও অপর আসামি ছিল তার বাবা এখলাছ।
Leave a Reply