1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অশ্লীলতা না থাকলে ,আইটেম গানে নাচবেন অনন্যা ২০ হাজার বাংলাদেশীর পাসপোর্ট ফেরত দিয়েছে ভারত সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত : র‌্যাবকে সরিয়ে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ চট্টগ্রাম বন্দরের তেলবাহী ট্যাংকারে আগুন, নিখোঁজ ৩ প্রধান উপদেষ্টার বাড়ির সামনে ৩৫ প্রত্যাশীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ ইসরাইলের স্থল হামলা মোকাবেলায় জোরালো প্রস্তুতির ঘোষণা হিজবুল্লাহ উপ-প্রধানের সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, মুক্তি পাচ্ছেন গ্রেফতার ব্যক্তিরা আশুলিয়ায় শ্রমিকদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ, নিহত ১ মধ্যরাতে বিশেষ পাহারায় সীমান্ত অতিক্রম করেন ওবায়দুল কাদের এবার আত্মসমর্পণ করবেন সাংবাদিক শফিক রেহমান

করোনায় হু হু করে বাড়ছে স্বর্ণের দাম

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১০ আগস্ট, ২০২০

করোনার কারণে আন্তর্জাতিক বিমান রুট বন্ধ থাকায় ব্যাগেজ রুলসে স্বর্ণের আমদানি খুবই কমে গেছে; পাশাপাশি চোরাচালানও হ্রাস পেয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে; এক বছরের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম চার দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে ২৩ হাজার টাকা। এ ছাড়া করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধের জেরে ইউএস ডলারের দরপতন হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বদলে স্বর্ণে বিনিয়োগ করছে। এসবের ফলেও আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমাগতভাবে সোনা ও রুপার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত বছরের এ সময়ে দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ছিল ৫৪ হাজার ৫২৯ টাকা, যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭৭ হাজার ২১৬ টাকায়। অর্থাৎ এক বছরে ভরিতে বেড়েছে ২২ হাজার ৬৮৭ টাকা। তবে স্বর্ণ ও রুপার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন গহনার বদলে পুরাতন গহনার চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিভিন্ন বেচাকেনার ওয়েবসাইট ও ই-কমার্স সাইটে গহনা লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে করোনায় স্বর্ণের বার বেচাকেনা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। দেশে বছরে প্রায় ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার কেজি সোনার চাহিদা রয়েছে। তার মধ্যে ১০ শতাংশ পুরনো সোনার অলঙ্কার গলিয়ে সংগ্রহ করা হয়।

পুরনো সোনার গহনা ও সোনার বার কেনাবেচার বড় ব্যবসা রাজধানীর তাঁতীবাজারে। এই বাজারের ব্যবসায়ী হরিপদ বাড়ৈ বলছেন, গত মাসে কয়েকটি আন্তর্জাতিক পথে বিমান চলাচল শুরু হলেও দীর্ঘদিন বিমান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে ব্যাগেজ রুলসের মাধ্যমে আমদানি হওয়া সোনার বার আসছে না বললেই চলে। আর দেশের অধিকাংশ স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে আসে। আন্তর্জাতিক বিমান বন্ধ থাকায় চোরাচালানও বন্ধ ছিল, যার ফলে স্বর্ণের সরবরাহ কম হয়। এর প্রভাবেও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, বছরের ব্যবধানে ২৩ হাজার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে স্বর্ণের দাম। করোনায় সৃষ্ট পেক্ষাপটে সোনার দাম আরও বাড়তে পারে। তবে তিনি এ-ও জানান, সোনার দাম বাড়লেও বাংলাদেশে সোনার চাহিদা বাড়েনি।

প্রসঙ্গত, করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই গত ৬ আগস্ট থেকে ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি সোনা ৪ হাজার ৪৩২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দর ৭৭ হাজার ২১৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাজুস। এ ছাড়া প্রতিভরি ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৭৪ হাজার ৬৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৬৫ হাজার ৩১৮ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি স্বর্ণ বিক্রি ৫৪ হাজার ৯৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

২০১৯ সালের ৬ আগস্ট প্রতিভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ছিল ৫৪ হাজার ৫২৯ টাকা, ২১ ক্যারেট ৫২ হাজার ১৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৪৭ হাজার ১৮০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির ২৭ হাজার ৫৮৫ টাকা। ওই সময় প্রতিভরি ২১ ক্যারেট রুপার (ক্যাডমিয়াম) দাম ছিল এক হাজার ৫০ টাকা।

করোনা ভাইরাসের কারণে গত মার্চ থেকে সামাজিক অনুষ্ঠান প্রায় বন্ধ। তার ওপর স্বর্ণের দাম বাড়তে বাড়তে অনেকেরই নাগালের বাইরে চলে গেছে। ফলে নতুন গহনা বানাতে দোকানমুখী হচ্ছেন না ক্রেতারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com