1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অশ্লীলতা না থাকলে ,আইটেম গানে নাচবেন অনন্যা ২০ হাজার বাংলাদেশীর পাসপোর্ট ফেরত দিয়েছে ভারত সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত : র‌্যাবকে সরিয়ে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ চট্টগ্রাম বন্দরের তেলবাহী ট্যাংকারে আগুন, নিখোঁজ ৩ প্রধান উপদেষ্টার বাড়ির সামনে ৩৫ প্রত্যাশীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ ইসরাইলের স্থল হামলা মোকাবেলায় জোরালো প্রস্তুতির ঘোষণা হিজবুল্লাহ উপ-প্রধানের সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, মুক্তি পাচ্ছেন গ্রেফতার ব্যক্তিরা আশুলিয়ায় শ্রমিকদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ, নিহত ১ মধ্যরাতে বিশেষ পাহারায় সীমান্ত অতিক্রম করেন ওবায়দুল কাদের এবার আত্মসমর্পণ করবেন সাংবাদিক শফিক রেহমান

১০ বছরে ব্যাংকে ৬ হাজার কোটি টাকার লেনদেন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৯ আগস্ট, ২০২০

যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীম ১০ বছরে ১৮০ ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৬ হাজার ৫৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা লেনদেন করেছেন। এর মধ্যে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে অধিকাংশ লেনদেন হয়। এসব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৩৩৭ কোটি টাকার স্থায়ী আমানত রয়েছে তার। রাজধানীতে দুটি বাড়িসহ ৫২ কাঠা জমির মালিক তিনি। তার এ সম্পত্তির মূল্য ৪১ কোটি টাকা। তিনি অবৈধ উপায়ে এসব সম্পদের মালিক হয়েছেন। জিকে শামীমের বিরুদ্ধে র‌্যাবের করা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলার চার্জশিটে এসব তথ্য উল্লেখ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত বুধবার সিআইডি জিকে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে ঢাকা মহানরগর মুখ্য হাকিম আদালতে এ চার্জশিট জমা দেয়।

চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেনÑ দেহরক্ষী দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম। তাদের অপরাধ সম্পর্কে চার্জশিটে বলা হয়েছেÑ জিকে শামীমের দেহরক্ষী হিসেবে কর্তব্যরত থেকে আসামিরা প্রকাশ্যে অস্ত্র ব্যবহার করে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টেন্ডারবাজিতে সহায়তা করতেন। বিভিন্ন দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে রয়্যালটি ফি গ্রহণ করতেন তারা। জিকে

শামীমের হয়ে জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় বাস টার্মিনাল, গরুর হাটে চাঁদাবাজিও করতেন। তারা অপরাধলব্ধ আয় অবৈধভাবে বিদেশে পাচারের জন্য মজুদ করেছিলেন।

সিআইডির অর্গানাইজড ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াডের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আবু সাঈদ বলেন, জিকে শামীমের অপরাধলব্ধ অর্থ উপার্জনের বিষয়ে যেসব তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে, তা চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বিদেশে অর্থপাচার করার চেষ্টা করছিলেন।

চার্জশিটে বলা হয়েছেÑ ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শামীমের প্রতিষ্ঠান জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানি একক ও যৌথ নামে ১৫৪টি প্রকল্পের কাজ পায়। গ্রেপ্তারের আগে ৬১টি প্রকল্প শেষ করে ৭৪৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকার বিল তুলে নেন শামীম। ৪ হাজার ৮১০ কোটি ৪৯ লাখ টাকার ৯৩ প্রকল্পের কাজ এখনো শেষ হয়নি।

সিআইডি সূত্র জানায়, জিকে শামীমের ৩৩৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার স্থায়ী আমানত আদালতের আদেশে স্থিতাবস্থায় রয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা, ৯ হাজার ডলার ও ৭৫২ সিঙ্গাপুরী মুদ্রা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকায় দুটি বাড়িসহ তার ৫১ দশমিক ৮৩ কাঠা স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে।

গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হয়। দুদিন পর ২০ সেপ্টেম্বর জিকে শামীমের নিকেতনের বাসা ও কার্যালয়ে অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় সাত দেহরক্ষীসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করে র‌্যাব। এর আগে র‌্যাব অস্ত্র ও মাদকের মামলায় চার্জশিট দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com