জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ইসলামী ছাত্রশিবিরের আয়োজনে টিএসসিতে দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের ছবি প্রদর্শনের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। অন্যদিকে, ছবিগুলো সরিয়ে নেওয়ার পর ছাত্রশিবির বলেছে, তাদের প্রদর্শনীর একটি অংশ ঘিরে ‘কুতর্ক ও মব’ তৈরি করা হয়েছে।
‘৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শিরোনামে কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘বিচারিক হত্যাকাণ্ড’ নামে একটি প্রদর্শনী আয়োজন করে ছাত্রশিবির। এতে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের পাশাপাশি বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছবিও ছিল। শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে সন্ধ্যার পর ছবিগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় রাতেই এক বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল জানায়, এই প্রদর্শনীতে ‘স্বীকৃত গণহত্যাকারী রাজাকারদের’ ছবির পাশাপাশি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছবি প্রদর্শন করা হয়েছে, যাঁকে তারা ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ব্যক্তিগত রোষানলের শিকার’ বলে উল্লেখ করেছে। ছাত্রদল এই ঘটনাকে ‘ধৃষ্টতাপূর্ণ’ উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানায়।
ছাত্রদলের ভাষ্য, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ক্যাম্পাসে যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিষ্ঠিত করার এই ‘জঘন্য অপচেষ্টা’ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। তারা দাবি করে, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মুখোমুখি দাঁড় করানোর জন্য শিবির এমন উদ্যোগ নিয়েছে।
অন্যদিকে, ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ ফেইসবুকে এক পোস্টে লেখেন, প্রদর্শনীর একটি অংশ নিয়ে ‘কুতর্ক ও মব’ তৈরি করা হয়েছে। তার ভাষ্য, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ গৌরবজনক অধ্যায় হলেও বাকশাল ও শাহবাগ আন্দোলন সেটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এসব বিষয়ে ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ছাত্রশিবিরের দাবি, যাঁদের ছবি প্রদর্শনীতে ছিল, তাঁরা ‘বিচারিক হত্যাকাণ্ডের শিকার’। এই দাবির পক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পূর্ববর্তী বক্তব্য তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি, স্কাইপি কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ টেনে তিনি দাবি করেন, এই বিচারের রায়গুলো ছিল ‘ফরমায়েশি’, এবং বিচারকরাও নাকি জানতেন, অপরাধ প্রমাণযোগ্য নয়।
Leave a Reply