জুলাই আন্দোলনের যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকা সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় জাল- জালিয়াতির অভিযোগে মামলায় গতকাল বুধবার আদালত এ আসামির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আর জামিন চাওয়া মামলাটিতে গত ২৪ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়।
খায়রুল হকের আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন এদিন জামিন শুনানিতে তিনি বলেন, এ বি এম খায়রুল হক একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি। হয়রানি করার জন্য গত ২৪ জুলাই এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার ঘটনা গত বছরের ১৮ জুলাই। ঘটনার প্রায় এক বছর পর গত ৬ জুলাই মামলাটি দায়ের করা হয়। এতদিন পর কেন মামলাটি দায়ের করেছেন তার সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখা নেই।
এই আইনজীবী বলেন, প্রধান বিচারপতি থেকে ২০১১ সালের ১৭ জুন তিনি অবসরে যান। অবসরের পর থেকে গত বছরের ৫ আগস্ট তার বাড়িতে এবং চলাচলের ক্ষেত্রে তার নিরাপত্তার জন্য ২৪ ঘণ্টায় পুলিশ পাহারাধীন ছিল। এই তথ্য পুলিশের সংশ্লিষ্ট সদর দপ্তরে সংরক্ষিত আছে। মামলার ঘটনার দিন তিনি নিজ বাড়িতে পুলিশ পাহারায় অবস্থান করছিলেন।
মোনায়েম নবী শাহিন বলেন, ‘ঘটনার দিন তিনি তার কর্মস্থল আইন কমিশনের কার্যালয়ে তার দাপ্তরিক কাজ শেষে পুলিশ পাহারায় নিজ বাস ভবনে ফিরে আসেন। যাত্রাবাড়ী এলাকায় তিনি গমন করেন নাই। তার বয়স ৮১ বছর। এই বয়সে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। তার জামিনের প্রার্থনা করছি। জামিন পেলে তিনি ট্রায়াল ফেস করতেন। জামিন দিলে তিনি পলাতক হবেন না।’
শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
গত ২৪ জুলাই সকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওইদিন রাতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তাকে গত ২৯ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বেআইনি রায় দেওয়া ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় করা মামলায় তাকে ভার্চুয়ালি গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, জুলাই আন্দোলনের সময় গত বছর ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় আবদুল কাইয়ুম আহাদ গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যাই।এ ঘটনায় তার বাবা আলা উদ্দিন গত ৬ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬৭ জনকে আসামি করা হয়।
Leave a Reply