বরিশাল নগরীর ৫ নং ওয়ার্ড পলাশপুর এর মোহাম্মদপুরে থেমে নেই মাদকের বানিজ্য। বর্তমানে স্থানীয় রহমান খলিফা ওরফে তুলা রহমানের মেয়ে মুক্তা বেগম(ছদ্মনাম) এবং মাদক ব্যাবষায়ী শামিম দিনরাত ২৪ ঘন্টাই কাউকে তোয়াক্কা না করেই চালিয়ে যাচ্ছেন গাঁজা,ইয়াবার জমজমাট বানিজ্য। পাশাপাশি মুক্তা বেগমও পুর্বের ন্যায় মাদক ব্যাবসার পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছেন দেহ ব্যাবসা। প্রশাসন কিংবা স্থানীয় সাধারণ জনগণ তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানালেও কোন তোয়াক্কা করছেন না তারা। এব্যাপারে ভুক্তভোগী একাধিক ব্যাক্তি জানান, রহমান খলিফার মেয়ে মুক্তা বেগম(ছদ্মনাম) এবং মাদক ব্যাবষায়ী শামিমের মধ্যে রয়েছে অবৈধ সম্পর্ক। প্রায় প্রতিদিন গভীর রাতে শামিমকে নিয়ে নিজ বাসায় অবৈধ কর্মকাণ্ডে মিলিত হয় মুক্ত বেগম(ছদ্মনাম)। এছাড়া একাধিক ব্যাক্তির আনাগোনা রয়েছে মুক্তা বেগমের (ছদ্মনাম) বাসায়, যা সরজমিনে তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে।
যদি কেউ এই ব্যাপারে প্রতিবাদ করে, তাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করার পাশাপাশি মিথ্যা মাদক মামলার আসামি করার ভয় দেখায়। একারণে সাধারণ বাসিন্দারা প্রতিবাদ করা থেকে বিরত থাকে। স্থানীয় মকবুল হোসেন এই প্রতিবেদককে জানান,সন্ধার পরে এই এলাকায় মাদকের হাট বসে,যা নিয়ন্ত্রণ করে মুক্তা বেগম (ছদ্মনাম)এবং মাদক ব্যাবষায়ী শামিম। প্রশাসন মাঝে মাঝে এখানে অভিযান চালালেও অদৃশ্য কারনে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেওয়া হয় না। যার কারনে ধান গবেষণা মাঠের পাশে কাঁচা রাস্তা এবং ঘেরের পাড়ে রীতিমতো মাদকের বাজার বসায় শামিমসহ অপর সহযোগীরা। স্থানীয় একাধিক এলাকাবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মুক্তা বেগম(ছদ্মনাম) এবং শামিমের অবৈধ কর্মকাণ্ডে এই এলাকার পরিবেশ মারাত্মক ভাবে হুমকির মুখে পরেছে। আমরা অবিলম্বে মুক্তা বেগম(ছদ্মনাম) এবং শামিমের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মুক্তা বেগম(ছদ্মনাম) এবং শামিম তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল নিসাদ জানান, মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিদিনই অভিযান চলছে। আর দেহ ব্যাবসার অভিযোগ তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেব।
Leave a Reply