সরকারি বাংলা কলেজ ছাত্রদলের সদস্যসচিব ফয়সাল রেজার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে রাজনৈতিক পদ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়াও অর্থ-স্বর্ণালংকার আত্মসাৎসহ নানা হয়রানির অভিযোগ এনেছেন তার স্ত্রী শিখা।
সোমবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ফয়সাল রেজা সাময়িক অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সরকারি বাঙলা কলেজ শাখার সদস্যসচিব ফয়সাল রেজাকে সব সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। একই সঙ্গে ওই কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমানকে বাঙলা কলেজ শাখা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হলো।’
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির সোমবার এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ফয়সাল রেজার স্ত্রী শিখা জানান, ফয়সাল বেকার ছিলেন এবং সংসারের সমস্ত খরচ তাকেই চালাতে হয়েছে। এমনকি ফয়সাল তার পরিবার ও বিদেশে থাকা ভাইদের কাছেও টাকা পাঠাতেন শিখার কাছ থেকে নিয়ে।
একপর্যায়ে তাকে মালয়েশিয়ায় থাকা ফয়সালের ভাইদের জন্য তিন লাখ টাকাও দিতে হয়। টাকা না দিলে ফয়সাল তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
শিখা বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর সে আমার থেকে টাকা নিয়ে আমাকে এড়িয়ে চলে, হলে দখল নেয়, নেতা হয়ে যায়। তখন সে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল। আমি সমস্ত খরচ দিয়েও তাকে আটকে রাখতে পারিনি।’
‘এ ঘটনা আমার সামাজিক মর্যাদাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’ এরপর বিয়ের কাবিননামা ও লিখিত অভিযোগ ছাত্রদলের পার্টি অফিসে জমা দেন বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply