রাজধানী দিল্লির বিধানসভা ভোটের বুথ ফেরত সমীক্ষা সত্যি প্রমাণ করতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ভোট গণনার শুরু থেকেই এগিয়ে দলটি। অন্যদিকে পোস্টার ব্যালটের পাশাপাশি সাধারণ গণনাতেও শুরু থেকেই পিছিয়ে আম আদমি পার্টি (আপ)।
পিছিয়ে রয়েছেন দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মার্লেনা। পিছিয়ে রয়েছেন বিজেপির কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীও। কমিশন সূত্রের খবর, ৪৭টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। অন্যদিকে ২০২০ সালে ৬২ আসনে জেতা কেজরিওয়ালের আপ মাত্র ২৩টিতে এগিয়ে। কংগ্রেস এখন পর্যন্ত সব আসনেই তৃতীয় স্থান দখলের চেষ্টায়।
এই প্রবণতা বজায় থাকলে ২৭ বছর পর রাজধানীতে ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই বিজেপি দপ্তরে সদস্যরা আনন্দ-উল্লাস শুরু করে দিয়েছেন। যদিও আপ নেতৃত্ব ও বিজেপি নেতৃত্ব শেষমেশ জয়ের প্রত্যাশায় স্থির বিশ্বাসী। কংগ্রেস অবশ্য সকালের মধ্যেই হাল ছেড়ে দিয়েছে।
কমিশন সূত্রের খবর, নয়াদিল্লি আসনে পিছিয়ে আপ নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রবেশ বর্মা থেকে পিছিয়ে। অপরদিকে জঙ্গপুর কেন্দ্রে পরাজিত প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। বিজেপির তরবিন্দর সিং মারওয়া এই কেন্দ্রে জিতেছেন।
হারের পর সিসোদিয়া বলেন, দলের কর্মীরা লড়াই করেছিল। সকলেই কঠিন পরিশ্রম করেছে। কিন্তু আমি মাত্র ৬০০ ভোটে হেরেছি। যিনি জিতেছেন তাকে অভিনন্দন জানাই। আশা করি তিনি এই কেন্দ্রের উন্নয়নে কাজ করবেন।
এদিকে নির্বাচনী ফলাফলের গতিপ্রকৃতি জয়ের আভাস দিতে থাকায় বিজেপির কার্যালয়ের সামনে শয়ে শয়ে সমর্থকরা হাজির হচ্ছেন। ঢাকঢোল, কাড়ানাগাড়া বাজিয়ে নাচ, আতশবাজি পোড়ানো চলছে। চলছে লাড্ডু বিলি। গেরুয়া আবিরে রঙিন হয়ে গেছে আকাশ। বিশাল বিশাল পতাকা নিয়ে অফিসের বাইরে কর্মীরা ‘জয় শ্রীরাম’, ‘ভারতমাতা কি জয়’ স্লোগান দিচ্ছে।
Leave a Reply