ম্যাচের প্রথম আধা ঘন্টার মধ্যেই হ্যাটট্রিক উপহার দিলেন বেনফিকার ভাগ্যেলিস পাভলিদিস। ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনা। তবে শেষ দিকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়াল কাতালানরা। অবিশ্বাস্য এক জয় পেল হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
মঙ্গলবার রাতে লিসবনে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে ৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ৫-৪ ব্যবধানে জিতল স্প্যানিশ জায়ান্টরা। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে শীর্ষ আটে থেকে সরাসরি শেষ ষোলোয় উঠে গেল বার্সেলোনা। সাত ম্যাচে ছয় জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ৩৬ দলের মধ্যে দুইয়ে আছে তারা।
খেলায় বার্সেলোনার দুটিসহ পেনাল্টি হয় মোট তিনটি। আত্মঘাতী গোল করেন বার্সেলোনার রোনাল্দ আরাউহো। শেষ গোলের পর লাল কার্ড দেখেন বেনফিকার বেঞ্চের খেলোয়াড় আর্থার কাব্রাল।
এদিন ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগেই সমর্থকদের উল্লাসে ভাসায় বেনফিকা। তমাস আরাউহোর উঁচু করে বাড়ানো বল বাঁ দিকে পেয়ে আলভারো ফের্নান্দেস পাস দেন বক্সে, আর ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে শটে বল জালে পাঠান পাভলিদিস।
তবে ত্রয়োদশ মিনিটে ঠাণ্ডা মাথার স্পট-কিকে দলকে সমতায় ফেরান তিনি। আলেহান্দ্রো বাল্দে বক্সে ফাউলের শিকার হলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।
কিন্তু গোলরক্ষক স্ট্যান্সনির মারাত্মক ভুলে ২২তম মিনিটে বেনফিকাকে আবার এগিয়ে নেন পাভলিদিস। বক্সের অনেকটা বাইরে এসে বল ক্লিয়ার করার চেষ্টায় সতীর্থ বাল্দের পায়ে মেরে বসেন পোলিশ গোলরক্ষক, দুজনই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আলগা বল পেয়ে ফাঁকা জালে পাঠান গ্রিক স্ট্রাইকার।
এরপর অবসর ভেঙে ফেরা স্ট্যান্সনি ২৮তম মিনিটে আরেকটি ভুল করেন। বক্সে তিনি ফাউল করেন আকতুরকোগলুকে। পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে সময় নেননি রেফারি। সফল স্পট-কিকে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন পাভলিদিস।
বিরতির পর ৬৪তম মিনিটে বেনফিকার গোলরক্ষক আনাতোলি ত্রুবিনের ভুলে ব্যবধান কমায় বার্সেলোনা। ত্রুবিনের গোল কিকে বক্সের ঠিক বাইরেই থাকা রাফিনিয়া পেতে দেন মাথা, বল জড়ায় জালে! চার মিনিট পরই অবশ্য দুই গোলের লিড পুনরুদ্ধার করে বেনফিকা। এবার ভুল করে বসেন আরাউহো। বক্সের বাঁ দিক থেকে প্রতিপক্ষের বাড়ানো বল স্লাইডে ক্লিয়ার করার চেষ্টায় নিজেদের জালে পাঠান উরুগুয়ের ডিফেন্ডার।
এরপর খেলার ৭৮তম মিনিটে আরেকটি পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান রবের্ট লেভান্ডভস্কি। ইয়ামাল বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি দিয়েছিলেন রেফারি।
এরিক গার্সিয়া নির্ধারিত সময়ের চার মিনিট বাকি থাকতে ৪-৪ সমতা টানেন। পেদ্রির ক্রসে কাছ থেকে লাফিয়ে চমৎকার হেডে গোলটি করেন ৭৪তম মিনিটে বদলি নামা এই ডিফেন্ডার।
যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে জয়সূচক গোল পায় বার্সা। ফেররান তরেসের উঁচু করে বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন রাফিনিয়া। এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে শটে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। উল্লাসে মেতে ওঠে গোটা বার্সেলোনা শিবির।
Leave a Reply