নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে ৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির অর্থ ছাড়ের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো)। সম্প্রতি বিদ্যুৎ জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন বিউবোর সচিব রাশেদুল হক প্রধান। চিঠির অনুলিপি অর্থসচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
চিঠিতে বলা হয়েছে- আসন্ন রমজান এবং গ্রীষ্মকালীন বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে কয়লা ও তরল জ¦ালানিভিত্তিক কেন্দ্রগুলোয় সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, আমদানি করা বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধ, ইসিএস ঋণের কিস্তি পরিশোধ এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে অপরিশোধিত বিল পরিশোধের জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে ৮ হাজার কোটি টাকা জরুরি ভিত্তিতে ভর্তুকির অর্থ ছাড় করতে হবে। দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদার মেটানো এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিউবো দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে কম মূল্যে বাল্ক কনজ্যুমারের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করছে। এতে বিউবোর বিপুল পরিমাণ আর্থিক ঘাটতি হচ্ছে। এ ঘাটতির টাকা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে সরকার আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করে আসছে। চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বরসহ সরকারের রাজস্ব বাজেটে বিদ্যুৎ ক্রয়-বিক্রয়ে ঘাটতি ২৭ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। এর বিপরীতে ইতিমধ্যে দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড় করেছে। ফলে এখনও ২৬ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়- সম্প্রতি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় গ্যাসের অপর্যাপ্ততায় আসন্ন রমজান, সেচ এবং গ্রীষ্মকালীন বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে কয়লা ও তরল জ¦ালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য বকেয়া ২৬ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকার মধ্যে থেকে জরুরি ভিত্তিতে আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে ৮ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহের অপর্যাপ্ততায় কয়লা ও তরল জ¦ালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় জ¦ালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারলে আসন্ন রমজান, সেচ এবং গ্রীষ্মকালীন বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ ব্যাহত হতে পারে। এ জন্য আলোচ্য সময়ে জ¦ালানি সরবরাহ নিশ্চিতকরণ আবশ্যক। এ ছাড়া ইসিএ অর্থায়নে নির্মিত বিউবোর দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইসিএ ঋণের কিস্তি জানুয়ারি মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। সময় মতো কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলে বিদ্যমান ঋণসমূহ কনসার্ন ক্রেডিট হিসেবে গণ্য হবে। এতে বিউবোর ভাবমুর্তি ক্ষুণœ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জরুরিভিত্তিকে ৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়ের অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।
Leave a Reply