1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘দিনের পর দিন অনির্বাচিত সরকারের হাতে দেশ চালাতে দিতে পারি না’ ট্রাইব্যুনালে প্রধান অভিযুক্তদের বিচার এক বছরের মধ্যে শেষ হবে : চিফ প্রসিকিউটর সাদপন্থী জিয়া বিন কাসিম গ্রেফতার গণহত্যার বিচার করাই আমার প্রধান দায়িত্ব: আসিফ নজরুল সচিবালয়ে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা সাময়িক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিবালয়ে আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ: রিজভী এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় বাসের ধাক্কা, নিহত বেড়ে ৬ ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ আইএসপিআরের ইতিহাস গড়লো নাসা, সূর্যের কাছাকাছি মহাকাশযান এক দিনের ব্যবধানে সিলেটে ‘ভারতীয় খা‌সিয়াদের গু‌লিতে’ আরেকজন নিহত

এবার ভারত ঘেঁষা মিয়ানমারের চিন রাজ্যের দখল আরাকান আর্মির

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইনের পরে এবার ভারতের মণিপুর রাজ্য ঘেঁষা চিন রাজ্যের দখল নিলো মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এই অংশেই মিয়ানমারের কুকি জনগোষ্ঠীর বসবাস। ফলে নতুন করে সীমান্ত পেরিয়ে মণিপুরে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির সমর্থক স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইরাবতী’ জানিয়েছে, চিন রাজ্যের ৮৫ শতাংশই বিদ্রোহী জোটের দখলে। সামরিক জান্তা সরকারের বাহিনীকে হটিয়ে থাইল্যান্ড এবং চিনের সীমান্তবর্তী এলাকার বড় অংশ কয়েক মাস আগেই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল বিদ্রোহী জোট। চলতি মাসের শুরুর দিকে বৃহত্তম বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির নেতৃত্বে বিদ্রোহী জোট দখল করে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্য। এবার মণিপুর সীমান্তও তাদের দখলে।

জান্তাবিরোধী নতুন জোট ‘চিন ব্রাদারহুড’-এর শরিক ‘ইয়াও ডিফেন্স ফোর্স’, সাগাইন অঞ্চলে সক্রিয় ‘ইয়াও আর্মি’ এবং ‘মনিওয়া পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ চিন রাজ্যের দখলের লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে বলে ‘দ্য ইরাবতী’র দাবি।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’র নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করেছিল মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। শুরু হয়েছিল সামরিক জান্তার শাসন।

এর আড়াই বছরের মাথায়, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে দেশটির তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী- তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), আরাকান আর্মি (এএ) এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মির (এমএনডিএএ) নতুন জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ সামরিক জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। ওই অভিযানের পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন ১০২৭’।

পরে জান্তাবিরোধী যুদ্ধে শামিল হয় চিন ন্যাশনাল আর্মি (সিএনএ) এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স (কেএলডিএফ) এবং সু চির সমর্থক স্বঘোষিত সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট-এর সশস্ত্র বাহিনী পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)।

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী শক্তির স্বঘোষিত সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট, জান্তাবিরোধী রাজনৈতিক দল শান স্টেট প্রোগ্রেস পার্টি এবং তাদের সশস্ত্র শাখা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সমর্থন জানায়। বিদ্রোহীদের মদতপুষ্ট রাজনৈতিক গোষ্ঠী দ্য ইউনাইটেড ওয়া স্টেট পার্টি (ইউডব্লিউএসপি) ইতোমধ্যেই কয়েকটি ‘মুক্ত’ এলাকায় ‘সমান্তরাল’ সরকার চালানো শুরু করেছে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com