ইসরাইলের সাথে যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে আলোচনার দরকার নেই বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ওসামা হামদান। গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরুর খরব ইসরাইলি মিডিয়ায় প্রকাশ করার প্রেক্ষাপটে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শনিবার আল জাজিরা এরাবিককে ফোনে দেয়া এক সাক্ষাতকারে হামদান বলেন, এখন অবিলম্বে ইসরাইলের যা করা দরকার তা হলো গাজা থেকে তাদের পূর্ণ প্রত্যাহার এবং সকল ধরনের আগ্রাসন বন্ধ করা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নতুন আলোচনার দরকার নেই।’ তিনি আরো জানান, হামাস ইতোমধ্যেই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, যা ইসরাইল প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, ‘আলোচনার সময় নতুন প্রস্তাব ইসরাইল গ্রহণ করবে, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। এমন কোনো আন্তরিক নিশ্চয়তা না থাকলে আলোচনার অর্থ হলো আগ্রাসন অব্যাহত রাখার জন্য ইসরাইলকে আরো সময় দেয়া।’
চলতি মাসের প্রথম দিকে হামাস যুদ্ধবিরতির জন্য কাতার ও মিসরের মধ্যস্ততাকারীদের দেয়া একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে। কিন্তু ইসরাইল জানায়, এই প্রস্তাবে তাদের দাবি মানা হয়নি।
শনিবার ইসরাইলি মিডিয়ায় বলা হয়, গাজায় বন্দী ইসরাইলিদের মুক্তির জন্য কর্মকর্তারা নতুন করে আলোচনা শুরু করতে চাচ্ছেন। প্যারিসে মধ্যস্ততাকারীদের সাথে আলোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানানো হয়।
ওই খবর অনুযায়ী, ইসরাইলি গোয়েন্দাপ্রধান ডেভিড বার্নিয়া স্থবির হয়ে যাওয়া আলোচনা আবার শুরু করার নতুন কাঠামোতে একমত হন। প্যারিসে বার্নিয়া ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ পরিচালক বিল বার্নস, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আসসানি উপস্থিত ছিলেন।
নতুন যে প্রস্তাব ইসরাইল দিয়েছে, তাতেও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা নেই। এমনকি কয়েক মাসের যুদ্ধবিরতি হলেও ইসরাইল আবার যুদ্ধ শুরু করতে পারবে বলে বলা হয়েছে। ইসরাইল জোর দিয়ে বলছে, হামাসকে ধ্বংস করার আগে পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ করবে না তারা।
হামাস জোর দিয়ে বলছে, তারা সাময়িক কোনো যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মানবে না। তারা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে চায়।
এদিকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড ইসরাইলের একদল সৈনিককে ফাঁদে ফেলে বন্দ করার দাবি করেছে। ফিলিস্তিনি গ্রুপটি একটি রেকর্ড করা অডিও বার্তায় এই দাবি করে। গাজায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অভিযানের সময় তাদের বন্দী করা হয় বলে এতে জানানো হয়।
কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা অবশ্য কতজন ইসরাইলি সৈন্যকে বন্দী করা হয়েছে, সে তথ্য দেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, ওই ইসরাইলি সৈন্যদলে যত সৈন্য ছিল তারা সবাই হয় নিহত বা আহত অথবা বন্দী হয়েছে। হামাস এ নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা এক ইসরাইলি সৈন্যকে টেনে হামাসের একটি সুড়ঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র : আল জাজিরা
Leave a Reply