ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে বাহামাস। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বেশ কিছু রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। শেষ রাষ্ট্র হিসেবে তারাও এতে যোগ দিলো।
বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বাহামাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে যে- তারা ‘এই বিষয়ে ক্যারিবিয়ান সম্প্রদায়ের ঐকমত্য’ -এ যোগ দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাহামা ১৯৭৩ সালে স্ব-নিয়ন্ত্রণের একটি আইনের মাধ্যমে একটি স্বাধীন জাতি হয়ে ওঠে। তাই, বাহামা ফিলিস্তিনি জনগণের স্ব-নিয়ন্ত্রণের আইনি অধিকারকে সমর্থন করে।
গত সপ্তাহে, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সরকার ঘোষণা করেছে যে- তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।
এদিকে মে মাসের শেষের দিকে বেশ কয়েকটি ইইউ দেশ ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেবে।
২০১২ সালে ফিলিস্তিন জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের একটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসাবে গৃহীত হয়েছিল। এ সময় দেশটির দূতকে জাতিসঙ্ঘের সংস্থাগুলোতে অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছিল কিন্তু কোনো ভোট দেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয় নাই।
১৮ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনির পূর্ণ সদস্যপদের অনুরোধের একটি প্রস্তাবে ভেটো দেয়। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে ভোটে ১২টি রাষ্ট্র পক্ষে ছিল, একমাত্র বিরোধী ছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল।
জাতিসঙ্ঘে একটি প্রস্তাব পাসের জন্য কমপক্ষে নয়টি ভোট প্রয়োজন। যেখানে স্থায়ী সদস্যদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীনের কোনো ভেটো থাকবে না।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পর শুরু হওয়া সঙ্ঘাতে গাজায় প্রায় ৮০ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। এতে কয়েক বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ৩৪ হাজার ৭৩৫ জন ফিলিস্তিনি।
সূত্র : আল-জাজিরা
Leave a Reply