বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ও চীন গত সপ্তাহে দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বিষয়ে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে, যাকে তিনি ঢাকা-বেইজিং অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতায় একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এই বছরের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদনগুলো শেষ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরু করব।’
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত ২০২৪ চীনা সরকারি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সময়সূচি অনুযায়ী সফলভাবে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটা আমার দৃঢ় প্রত্যয় যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আগামী পাঁচ বছরে আরও শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ, সমৃদ্ধ এবং স্থিতিস্থাপক হবে, যা চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার ক্রমাগত উন্নতি ও উন্নতির নিশ্চয়তা দেবে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন ও বাংলাদেশ উভয়ই উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। আধুনিকায়নের পথে চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার এবং বিশ্বস্ত বন্ধু ছিল ও থাকবে।’ তিনি যোগ করেন, চীন ও বাংলাদেশ পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও জয়-জয়কার সহযোগিতার একটি ভালো উদাহরণ স্থাপন করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমি এটা দেখে আনন্দিত যে চীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গভীরভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দুই দেশ অনেক মেগা প্রকল্পেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখেছে। ডবল পাইপ লাইন প্রকল্পের সঙ্গে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং ইনস্টলেশন এবং পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ভাঙ্গা-রূপদিয়া সেকশন সফলভাবে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। কক্সবাজার বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প, এস আলম কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বরিশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে।’
উত্তর ঢাকায় ওয়েস্ট টু দ্য এনার্জি পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প, রাজশাহী সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চায়না-এইড প্রকল্পের নির্মাণ কাজ এ বছরই শুরু হবে’, বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
Leave a Reply