গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনী কঠিন প্রতিরোধের মুখে পড়ছে। তারা মঙ্গল ও বুধবার ইসরাইলের ২২ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জাতিসঙ্ঘ জানিয়েছে। আর ইসরাইল সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, গাজায় স্থল হামলা শুরুর পর থেকে তাদের ১৬৭ সৈন্য নিহত হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকজন সৈন্য আহত হয়েছে। তবে গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস দাবি করেছে, তাদের হাতে এক হাজারের বেশি ইসরাইলি সৈন্য নিহত হয়েছে।
আইডিএফ জানিয়েছে, গাজায় বুধবার তাদের একজন ডেপুটি কমান্ডার নিহত হয়েছে। বুধবার তাদের আরো সৈন্য নিহত হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস (রিজার্ভ) আসাফ পিনহাস তুবুল (২২), ৪০১তম আর্মড ব্রিগেডের কোম্পানি কমান্ডার ক্যাপ্টেন (রিজার্ভ) নেইরিয়া জিস্ক (২৪) এবং ৪৬০তম আর্মড ব্রিগেডের ডেপুটি কমান্ডার মেজর ডিভর ডেভিড ফিমা (৩২)।
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি ফরাসি প্রেসিডেন্টের
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছেন।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে টেলিফোনে আলাপকালে বুধবার তিনি এ দাবি জানান। তার কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, ফ্রান্স আগামী দিনগুলোতে জর্ডানের সহযোগিতায় গাজায় মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ মিত্র ম্যাঁক্রো গাজায় বেসামরিক প্রাণহানি এবং জরুরি মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এছাড়া তিনি অধিকৃত পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি বসতি স্থাপনাকারীদের সহিংসতা বন্ধ এবং বসতি স্থাপনের নতুন পরিকল্পনা থেকে দূরে থাকার কথাও বলেছেন।
এদিকে নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, ফোনে কথা বলার সময়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নৌপথের স্বাধীনতা রক্ষায় ফ্রান্সের সম্পৃক্ততা এবং লেবাননের সাথে ইসরাইলের সীমান্তে নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারে সহায়তার ইচ্ছে প্রকাশের জন্যে ম্যঁক্রোকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালিয়ে প্রায় ২৫০ জনকে আটক করে। এ হামলায় এক হাজার ১৪০ ইসরাইলি নিহত হয়। গাজায় এখনো ১২৯ বন্দী আটক রয়েছে।
এদিকে ৭ অক্টোবরের হামলার পর ইসরাইল হাসাসকে নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করেছে। গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত ২১ হাজার ১১০ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৫৫ হাজার আহত হয়েছে। নিহতদের বেশিভাগই নারী ও শিশু।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল, এএফপি, আল জাজিরা
Leave a Reply