বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সারাদেশে চতুর্থ দফার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির শেষ দিন আজ সোমবার। টানা ৪৮ ঘণ্টার এই অবরোধ রোববার ভোরে শুরু হয় আগামীকাল মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত চলবে।
রোববার ভোর থেকে বিএনপি- জামায়াতের অবরোধ শুরু হলে বেলা ১১টায় মিরপুরে, সন্ধ্যায় তেজগাঁও, রাতে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় একটি করে বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি, জামায়াত ইসলামী, ছাত্রশিবির, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। দেশব্যাপী এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। নেতাকর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে।
২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি-হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং চলমান এক দফা দাবিতে ফের টানা ২দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।এরআগে ২৯ অক্টোবর হরতাল, ৩১ অক্টোবর, ১, ২ এবং ৫, ৬ এবং ৮ , ৯ নভেম্বর টর তৃতীয় দফা অবরোধ কর্মসূচির পালন করেছে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ডাকা পূর্বের হরতাল ও অবরোধে রাজধানী ঢাকায় কম পিকেটিং মিছিল হলেও রাস্তায় গণপরিবহন চলেছে একবারে সীমিত আকারে। রাজধানীবাসী ব্যক্তিগত কাজে রিকশা, সিএনজি ও প্রাইভেট কার নিয়ে চলছে। এটি স্বাভাবিক দিনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য। তবে ঢাকার বাহিরে ব্যাপকভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। দেশব্যাপী হরতাল ও অবরোধে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সারাদেশে বিএনপি জামায়াতসহ বিরোধী দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এদিকে ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সংঘাতে পণ্ড হওয়ার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধীদলের উল্লেখ যোগ্য নেতাদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
২৮ অক্টোবর রাত ১০টার পর থেকে এখন ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ, সেদিনের সংঘাতের পর থেকে কোনো নেতাকর্মী বা অফিস সহকারীকে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া অবস্থান। কাঁটাতারে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ।
Leave a Reply