1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন

২ লাখ ৭০ হাজার কোটি ডলার প্রতিবছর বিনিয়োগ প্রয়োজন

ইউএস বাংলাদেশ ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

২০৫০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামাতে প্রতিবছর ২ লাখ ৭০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রয়োজন। গত বৃহস্পতিবার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান উড ম্যাকেঞ্জির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ বৈশ্বিক তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে হলেও এই বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়বে। খবর : রয়টার্সের।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়কর পরিণতি ঠেকাতে এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে সীমিত রাখতেই হবে। এই লক্ষ্য অর্জনে মধ্য শতাব্দী নাগাদ কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বহু দেশের সরকার। তবে এখনো অনেক দেশ ২০৩০ সাল নাগাদ নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথেও নেই বলে জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। উল্লেখ্য, কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার অর্থ হলো সংশ্লিষ্ট দেশ যে পরিমাণ কার্বন পরিবেশে ছাড়বে, ঠিক সেই পরিমাণ কার্বন শোষণে ভূমিকা রাখতে হবে।

জাতিসংঘ বলছে, সরকারগুলোর বিদ্যমান কার্বন নিঃসরণ কমানোর অঙ্গীকারগুলো বৈশি^ক তাপমাত্রাকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে বৃদ্ধি ঠেকাতে ব্যর্থ হবে এবং সম্ভবত ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বকে ২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে।

উড ম্যাকেঞ্জির প্রতিবেদন বলছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রিতে

সীমিত রাখতে জ্বালানি খাত কার্বনমুক্ত করতে প্রতিবছর ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। আর এটা দেড়শ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতিবছর ২ লাখ ৭০ হাজার কোটি ডলার বাড়াতেই হবে। এ বিনিয়োগের তিন-চতুর্থাংশই করতে হবে শক্তি এবং অবকাঠামো খাতে।

উড ম্যাকেঞ্জির প্রধান বিশ্লেষক ও চেয়ারম্যান সিমোন ফ্লাউয়ার্স বলেন, ‘দেড় ডিগ্রির লক্ষ্য অর্জন খুবই চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে, কিন্তু এটা অর্জন সম্ভব এবং এটা ব্যাপকভাবে নির্ভর করবে এই দশকে নেওয়া পদক্ষেপের ওপর।’

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের বিদ্যুতের প্রধান উৎস হয়ে উঠতে হবে বায়ু এবং সৌরবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য শক্তি। এ জন্য বিদ্যুৎ পরিবহন ও সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদনেও সহায়তা দিতে হবে।

প্রতিবেদনটির শীর্ষ লেখক এবং উড ম্যাকেঞ্জির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকাশ শর্মা বলেন, রূপান্তরকালীন পরিবর্তনে তেল ও গ্যাস এখনো ভূমিকা রাখবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com