হৃদয়ের তেজ থামাতে পারলেন না সাকিব আল হাসানও। জাতীয় দলের অধিনায়ককেও করলেন না সমীহ। সাকিবই যেখানে ম্লান, অন্যরাও সেখানে দাঁড়াতেই পারেনি তার সামনে৷ ব্যাট হাতে পুরোদস্তুর ঝড় তোলেন হৃদয়, মাঠে থেকে জেতান দলকে। অপরাজিত ছিলেন দুটি চার আর চারটি ছক্কায় ২৩ বলে ৪৪ রানে।
জাতীয় দলের জার্সি গায়ে সাকিব ও হৃদয় এক হয়ে লড়াই করলেও শুক্রবার তাদের দেখা মেলে প্রতিপক্ষ রূপে৷ লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে মুখোমুখি হয় তাদের দল গল টাইটান্স ও জাফনা কিংস। নিজ নিজ দলের হয়ে মাঠে নামেন উভয়েই। যেখানে শেষ হাসি তাওহীদ হৃদয়ের৷ ব্যক্তিগত সাফল্য তো বটেই, তার দলও পেয়েছে ৮ উইকেটের জয়।
টসে জিতে প্রথম ব্যাট করা গল টাইটান্স তুলেছিল মোটে ১১৭ রান। আগের দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে ভালো করলেও আজ সাকিব ফেরেব ৯ বলে মাত্র ৬ রান করে। সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে অধিনায়ক দাসুন শানাকার ব্যাটে। তাছাড়া শেভন ডেনিয়েল করেন ২৫ রান।
ব্যাট হাতে ব্যর্থ থাকলেও বল হাতে বেশ সাবলীল ছিলেন সাকিব। দলের পক্ষে দুই উইকেটের উভয়টাই নেন তিনি। ১১৮ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় জাফনা। চারিথ আসালাঙ্কাকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন সাকিব।
তবে পঞ্চম ওভারে বল করতে এসে ছন্দ হারিয়ে ফেলেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী এই বোলার। ছক্কা খেয়ে গুরবাজের কাছে ইনিংস শুরু করার পর তাওহীদ হৃদয়ের বিপক্ষে হজম করেন পরপর দুই বলে ছক্কা-চার। ওই ওভারে আসে ১৭ রান।
এরপর অবশ্য ১০ম ও ১২তম ওভারেও বল হাতে আসেন সাকিব। ১০ ওভারে হৃদয়ের কাছে একটা চার হজম করলেও রান দেন মোট ৬। আর ব্যক্তিগত শেষ ওভারে ভয়ংকর হয়ে উঠা গুরবাজকে বোল্ড করেন সাকিব। আউট হবার আগে ৩৯ বলে ৫৪ রান করেন গুরবাজ।
৩১ রানে ২ উইকেট শিকার করে নিজের স্পেল শেষ করেন সাকিব। বিপরীতে তাওহীদ হৃদয় খেলতে থাকেন নিজের মতো। যখন জয়ের জন্য মাত্র ১০ রান প্রয়োজন, তখন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে জোড়া ছক্কা মেরে জাফনার জয় নিশ্চিত করেন হৃদয়। ডানহাতি এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪৪ রানে।
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় শুক্রবারের ম্যাচটা ছিল স্বীকৃত ক্রিকেটে সাকিবের ৮০০তম ম্যাচ। ব্যাট হাতে না পারলেও বল হাতে জোড়া উইকেট নিয়ে দিনটা স্মরণীয় করে রেখেছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
Leave a Reply