1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্বেচ্ছাসেবক লীগের র‌্যালি থেকে ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চরম তাপপ্রবাহ আসন্ন বিপদের ইঙ্গিত দ্বিতীয় ধাপে কোটিপতি প্রার্থী বেড়েছে ৩ গুণ, ঋণগ্রস্ত এক-চতুর্থাংশ: টিআইবি সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার শহীদ ২ দিনের রিমান্ডে ‘গ্লোবাল ডিসরাপ্টর্স’ তালিকায় দীপিকা, স্ত্রীর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রণবীর খরচ বাঁচাতে গিয়ে দেশের ক্ষতি করবেন না: প্রধানমন্ত্রী জেরুসালেম-রিয়াদের মধ্যে স্বাভাবিককরণ চুক্তির মধ্যস্থতায় সৌদি বাইডেনের সহযোগী ‘ইসরাইলকে ফিলিস্তিন থেকে বের করে দাও’ এসএমই মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইরান ২ সপ্তাহের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র বানাতে পারবে!

‘বিলের জন্য’ করোনা রোগী আটকা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩ জুন, ২০২০

যেসব বেসরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা হচ্ছে তার মধ্যে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল অন্যতম। এ হাসপাতালটির বিরুদ্ধে বিলের জন্য এক করোনা রোগীকে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সাইফুল ইসলাম নামের এক রোগী অভিযোগ করেছেন গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে করোনাভাইরাস থেকে থেকে সেরে ওঠার পর চিকিৎসকের ছাড়পত্র মিললেও বিলের জন্য হাসপাতাল তাকে ছাড়ছে না।  বলে অভিযোগ করেছেন সাইফুল ইসলাম নামে ওই ব্যক্তি।

অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচিব হাবিবুর রহমান বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের  কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই, কেননা এই বিল সরকার মেটাবে।

এ বিষয়টিকে পাত্তা না দিয়ে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা ‘কোভিড ডেডিকেটেড’ হাসপাতাল হিসেবে আর নেই।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সাইফুল নামে ওই রোগী আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালেই আটকে ছিলেন। গত ২৩ মে হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছিলেন মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকার বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী সাইফুল।

সাইফুল ইসলাম জানান, গত ২১ মে একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। হৃদস্পন্দন বেশি থাকায় ২৩ মে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।

তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা ফ্রি করে দিয়েছে সরকার, এটা জেনে এখানে ভর্তি হয়েছিলাম, এখন অনেক বেশি টাকা দাবি করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’

সাইফুল ইসলাম জানান, ভর্তি হওয়ার পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত তার রক্তের দুটি পরীক্ষা করেছে, তিনটি এক্স-রে করেছে। আর হাসপাতাল থেকে শুধু নাপা ট্যাবলেট সরবরাহ করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমার কোনো অক্সিজেনেরও প্রয়োজন হয় নাই। কোনো অপারেশন লাগে নাই। কিন্তু এত টাকা বিল করে দিয়েছে। আমি এত টাকা এখন কোথা থেকে দেব।’

সাইফুল ইসলামের বিলে গেছে, ২ জুন পর্যন্ত চিকিৎসকের বিল ১৮ হাজার ৭০০ টাকা, হাসপাতাল বিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৭০ টাকা, পরীক্ষার বিল ১৯ হাজার ৪৭৫ টাকা, ওষুধের বিল ৫ হাজার টাকা। আর এর সঙ্গে সার্ভিস চার্জ যোগ হয়েছে ১২ হাজার ৯০৩ টাকা।

সাইফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে চিকিৎসক তাকে ছাড়তপত্র দেন।  কিন্তু টাকা দিতে না পারায় তাকে হাসপাতাল থেকে বের হতে দিচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘আমার তিনটার সময় যাওয়ার কথা। এখনও (রাত সাড়ে ১০টা) যেতে পারিনি। ওদের অ্যাডমিনের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছে হাসপাতাল ছাড়তে হলে টাকা দিতে হবে।’

আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক এহতেশামুল হক জানান, মে মাসে সরকারের সঙ্গে তাদের চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবে ওই রোগীকে কীভাবে ছাড় দেওয়া যায়, তারা সে ব্যবস্থা করছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি হাসপাতালে বলে দিচ্ছি। আমাদের পক্ষ থেকে ওই রোগীর জন্য সর্বোচ্চ ছাড় দেওয়া হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান বলেন, ‘কোভিড-১৯ নির্ধারিত হাসপাতালগুলোর বিল সরকার দেবে। এখানে রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো কমপ্লিটলি ফ্রি। আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালেও চিকিৎসা ফ্রি। যখনই হাসপাতালটা সরকার নিল, তখন তো আনোয়ার খানকে টাকাটা সরকার দেবে। রোগীর ট্রিটমেন্ট হবে ফ্রি।’

উল্লেখ্য, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com