তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের ৫০ ভাগ না পাওয়ায় আগামী ২৮ মে রোববার নতুন করে ভোট হবে। প্রথম রাউন্ডে শীর্ষস্থানে থাকা দুই প্রার্থী রজব তাইয়্যিপ এরদোগান ও কেমাল কিলিচদারুগ্লু এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বেশির ভাগ বিশ্লেষকই মনে করছেন, যেভাবে এরদোগান সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছেন, তাতে করে তিনি দ্বিতীয় রাউন্ডে বিপুলভাবে জয়ী হয়ে পুনর্নির্বাচিত হবেন। তাকে প্রতিহত করা মনোবল ভেঙে যাওয়া বিরোধী জোটের পক্ষে সম্ভব হবে না। কোনো কোনো বিশ্লেষক তো বলছেন, এরদোগান ৮০ ভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হবেন।
প্রথম রাউন্ডের ভোটে এরদোগান পেয়েছেন ৪৯.৫ ভাগ ভোট। তার প্রধান চ্যালেঞ্জার কেমাল কিলিচদারুগ্লু পেয়েছেন ৪৪.৯ ভাগ ভোট। আর জাতীয়তাবাদী প্রার্থী সিনান ওগ্যান পেয়েছেন ৫.২ ভাগ ভোট।
অর্থনীতিবিদ টিমোথি অ্যাশ জানিয়েছেন, ‘বিস্ময়কর জয় পেয়েছেন এরদোগান। তার হাতে রয়েছে জাদুর কাঠি। তিনি তুর্কিদের সমর্থন পেয়েছেন।’
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান টেনেওর উলফানগো পিকোলি বলেন, ‘প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এরদোগান সুস্পষ্ট মনোস্তাত্ত্বিকভাবে এগিয়ে রয়েছেন। তিনি সম্ভবত আগামী দুই সপ্তাহ ধরে জাতীয় নিরাপত্তার ওপর বক্তব্য রাখবেন।’
বেশির ভাগ বিশ্লেষক বিশ্বাস করেন, কিলিচদারুগ্লু ও তার ছয় দলীয় বিরোধী জোট ২৮ মের ঐতিহাসিক রান অফে এরদোগানের গতি রুখতে পারবে না।
ইউরেসিয়া গ্রুপের আমরে পেকার মনে করেন, এরদোগান সম্ভবত ৮০ ভাগ ভোট পেয়ে জয়ী হবেন।
পেকার বলেন, ফলাফলে দেখা যাচ্ছে এরদোগান সন্ত্রাসবাদ, নিরাপত্তা, পারিবারিক মূল্যবোধ ইত্যাদি নিয়ে দৃঢ় বার্তা দিয়ে সমর্থন হাসিল করেছেন।
এরদোগানের সমর্থন হামদি কুরুমামুত বলেন, ‘এরদোগান জয়ী হতে যাচ্ছেন। তিনিই প্রকৃত নেতা। তুর্কি জনগণ তার প্রতি আস্থা রেখেছে।’
সূত্র : আরব নিউজ
Leave a Reply