ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বার্লিনে জার্মান নেতাদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিয়েভকে সহায়তা করার জন্য জার্মানি ৩০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করার পরপরই এই বৈঠক হয়।
ইতালি থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসার পর ১৪ মে ভোরে জেলেন্সকি টুইট করেন, ‘ইতোমধ্যে বার্লিনে। অস্ত্র। শক্তিশালী প্যাকেজ। বিমান প্রতিরক্ষা। পুনর্গঠন। ইইউ। ন্যাটো। নিরাপত্তা।’
জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টাইনমায়ার জেলেন্সকিকে বার্লিনের সরকারি বাসভবন শ্লস বেলভিউতে স্বাগত জানান।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, চ্যান্সেলারিতে ইউক্রেনের নেতাকে সামরিক সম্মানে অভ্যর্থনা জানান।
জেলেন্সকি মর্যাদাপূর্ণ শার্লেমেন পুরস্কার গ্রহণের জন্য আচেন শহরেও যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জার্মান প্রেসিডেন্টের বাসভবনে দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করার সময় জেলেন্সকি জার্মানিকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেন, ‘ইউক্রেনের আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়ে, জার্মানি আমাদের সত্যিকারের বন্ধু এবং নির্ভরযোগ্য মিত্র হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। যা স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার সংগ্রামে ইউক্রেনীয় জনগণের পাশাপাশি রয়েছে।’
তার আগমনের প্রাক্বালে, জার্মানি ইউক্রেনের জন্য ট্যাংক, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট সিস্টেম এবং গোলাবারুদসহ ৩০০ কোটি ডলারেরও বেশি মূল্যের সামরিক সহায়তার একটি নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য কিয়েভে ভারী অস্ত্র পাঠাতে অনিচ্ছার জন্য ইউক্রেনের অনেকে জার্মানির সমালোচনা করেছে। সর্বশেষ সহায়তা প্যাকেজটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আগ্রাসনের পর বার্লিনের বৃহত্তম সহায়তা প্যাকেজ।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
Leave a Reply