পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। পুলিশের সঙ্গে পিটিআই কর্মীদের তুমুল সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যেই এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এল।
গতকাল বুধবার ইমরান খান আদালতকে বলেছেন, তিনি তার জীবন নিয়ে অনেক ভয়ে আছেন। তার আশঙ্কা, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের মানি লন্ডারিং মামলার প্রধান সাক্ষী মাকসুদ চাপরাসির মতো তারও একই পরিণতি হতে পারে, যিনি গত বছর মারা গিয়েছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালতে শুনানির সময় পিটিআই প্রধান ইমরান খান বলেছেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমি ওয়াশরুমেও যাইনি। আমি ভয় পাচ্ছি ওরা হয়তো আমায় মেরে ফেলবে। ওরা আমাকে ইঞ্জেকশন দিয়ে দেবে। আর আমি আস্তে আস্তে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাব।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাজধানী ইসলামাবাদের হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় বুধবার তাকে আদালতে তুলে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। মোহাম্মদ বশিরের হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। পরে এনএবির ৮ দিনের হেফাজতে পাঠানো হয় ইমরানকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরানের স্ত্রীর বিরুদ্ধে পুরোদমে তদন্ত চলছে। তার বিরুদ্ধে বিপুল সম্পত্তি করার অভিযোগ। যার জেরে পাকিস্তানের জাতীয় সম্পত্তির প্রায় ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
এদিকে তোষাখানায় মামলায় অভিযুক্ত ইমরান। তিনি নাকি একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা তিনি সরকারি তালিকাভুক্ত করেননি। তিনি সরকারি উপহারকে ব্যক্তিগত বলে চালিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি এভাবে আইন ভেঙেছিলেন বলে অভিযোগ।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করার পরেই করাচি, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি, লাহোরসহ পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকায় অশান্তি একেবারে চরমে। বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। অশান্তি মোকাবিলায় বিভিন্ন জায়গায় সেনা নামানো হয়েছে।
তবুও থামছে না অশান্তি। দেশটির বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলছে। চলছে ভাঙচুর। ইমরান অনুগামীরা দলে দলে নেমেছেন রাজপথে। চলছে তাণ্ডব। তার মধ্যেই সামনে এল ইমরান খানের এই বিস্ফোরক দাবি।
Leave a Reply