পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেফতার করার পর পাকিস্তানজুড়ে যে নৈরাজ্যকে ‘কালো অধ্যায়’ হিসেবে অভিহিত করেছে। দেশটির সেনাবাহিনী সাধারণত এমন মন্তব্য করে না।
এক বিবৃতিতে ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্সের (আইএসপিআর) জানায়, ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবলিটি ব্যুরোর নির্দেশে ইসলামাবাদ হাই কোর্টের সামনে থেকে ইমরান খানকে গ্রেফতারের পর যা ঘটেছে সেটা ছিল সেনাবাহিনীকে টার্গেট করে ‘সুপরিকল্পিত’ একটি নীলনক্সা।
সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং জানায়, ইমরান খানের গ্রেফতারের পর সেনাবাহিনীর সম্পত্তির ওপর সঙ্ঘবদ্ধ হামলা হয়েছে, সেনাবাহিনীবিরোধী স্লোগান দেয়া হয়েছে।
আইএসপিআর পিটিআই নেতাদের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের কর্মীদের উস্কানি দেয়া এবং সেইসাথে আবার সেনাবাহিনীর প্রশংসা করাকে ‘ভণ্ডামি’ হিসেবে অভিহিত করেন।
সামারিক বাহিনীর মিডিয়া উইং জানায়, একদল লোক ক্ষমতার লালসায় রাজনৈতিক পোশাক পরে দেশের নজিরবিহীন ক্ষতি করেছে। তারা এতটাই ক্ষতি করেছে যে পাকিস্তানের শত্রুরা পর্যন্ত তা করতে পারেনি।
এত বলা হয়, সেনাবাহিনী চরম ধৈর্য, সহিষ্ণুতা, সংযম প্রদর্শন করেছে। সেনাবাহিনী বিচক্ষণ জবাবে ষড়যন্ত্র ভণ্ডুল হয়ে গেছে।
আইএসপিআর আরো জানায়, পাকিস্তানকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে গ্রুপটি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালালে কঠোর বদলা নেয়া হবে।
এতে আরো বলা হয়, কাউকেই জনগণকে উস্কানি দিতে এবং আইনকে নিজের হাতে তুলে নিতে দেয়া হবে না।
পাকিস্তানে গত বছর ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই অস্থিরতা চলছে। ইমরান খানের কর্মীরা এস্টাবলিশমেন্ট ও সরকারের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
গতকাল ইমরান খানকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে আট দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
সূত্র : জিও নিউজ, দি নিউজ ইন্টারন্যাশনাল
Leave a Reply