এক-একটা গোটা দেশের ভার রয়েছে তাদের হাতে। তাদের অঙ্গুলিহেলনেই আন্তর্জাতিক রাজনীতির দুনিয়ায় বড় বড় রদবদল ঘটে যায়। আর তাদের হাতেই কিনা শোভা পাচ্ছে গিটার! মোদি থেকে বাইডেন, সকলেই শামিল সেই গানের দলে! কিভাবে? তাহলে আসুন, শুনেই নেয়া যাক।
হাতে গিটার। পরনে কারো রংচঙে শার্ট তো কারো লেদার জ্যাকেট। বিপুল উচ্ছ্বাসে গান গাইছেন তারা। মুখভঙ্গি থেকেই স্পষ্ট, চড়া স্কেলে গান ধরেছেন তারা, যে উন্মাদনায় শামিল শ্রোতারাও। ঠিক যেন রকস্টার। উঁহু, ভুলেও এমনটা ভাববেন না। কারণ এদের মুখের দিকে তাকালেই সে ভুল ভেঙে যাবে। দেখা যাবে, তারা কোনো রকস্টার নন। বরং এক একজন দোর্দণ্ডপ্রতাপ রাষ্ট্রনেতা। নরেন্দ্র মোদি থেকে বারাক ওবামা, ভ্লাদিমির পুতিন থেকে জো বাইডেন, এমনকি খোদ উত্তর কোরিয়ার একনায়ক শাসক কিম জং উন পর্যন্ত, কে নেই ওই তালিকায়! আর এইখানেই কারসাজি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার। স্রেফ যন্ত্রের কারসাজিতেই মুহূর্তে ভোল পালটে গেছে এসব দাপুটে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের।
তারা সকলেই বিশ্বরাজনীতির প্রথম সারির মুখ। কোনো না কোনো দেশের সরকারের প্রায় সর্বেসর্বা। আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তাদের নিয়েই একটা আস্ত সিরিজ বানিয়ে ফেলেছেন জো জন মুলুর নামে এক শিল্পী। তিনি এমন একটা সমান্তরাল দুনিয়ার কল্পনা করেছেন যেখানে এই প্রত্যেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই একেকজন রকস্টারের পেশা বেছে নিয়েছেন। আর ‘ওয়ার্ল্ড লিডারশিপ মিউজিক কনফারেন্স’ নামের এক সংগীত সম্মেলনে গান গাইতে গিয়েছেন প্রত্যেকেই। গিটার হাতে তাদের গান গাওয়ার সেই মুহূর্তই কল্পনা করে নিয়েছেন এই শিল্পী।
ইদানীং কালে কল্পনার ছবিকে একেবারে সত্যিকারের মতো করে আঁকার কৌশলে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এআই ব্যবহার করে এর আগেও বিশ্বের বিখ্যাত ধনকুবেরদের গরিবে পর্যবসিত করেছিলেন এক শিল্পী। ওই তালিকাতেও ঠাঁই পেয়েছিলেন ময়লা গেঞ্জি পরা ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার অবশ্য মলিন জামা নয়, রকস্টার-সুলভ ব্লেজার গায়ে উঠেছে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্টের।
এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি, আর মার্কিন মুলুকের দুই সময়ের দুই প্রেসিডেন্ট বাইডেন আর ওবামার পরনে রয়েছে ফ্লোরাল প্রিন্টের রংচঙে শার্ট। কায়দার শার্ট পরানো হয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আর যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকেও। জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল-এর পরনে লেদার জ্যাকেট। আততায়ী হামলায় নিহত, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে অবশ্য ধরা দিয়েছেন চেনা স্যুটেই।
তবে সবচেয়ে বেশি চমকে দিয়েছেন কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসকের হাতেও যে শিল্পী গিটার তুলে দিয়েছেন, সেই ‘বৈপ্লবিক রসিকতা’র জন্য তাকে কুর্নিশ না জানিয়ে বোধহয় উপায় নেই। আর এই ছবিগুলো প্রকাশ্যে আসতেই নেটদুনিয়ায়। শিল্পীর এহেন ভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নেটিজেনদের অনেকেই। তবে নিজেদের এমন অন্য ভূমিকায় দেখে রাষ্ট্রনেতারা কী ভাবছেন, সে কথা অবশ্য ফাঁস করেননি কেউই।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
Leave a Reply